৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

সরিষাবাড়ীতে দালালের দৌরাত্ম্যে দিশেহারা রোগী ও স্বজনরা ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্বপন মাহমুদ,সরিষবাড়ী প্রতিনিধি:

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালদের দৌরাত্ম্যে দিশেহারা রোগী ও তাঁদের স্বজনরা। প্রধান গেট থেকে শুরু করে রোগীদের ওয়ার্ড পর্যন্ত পুরো হাসপাতালজুড়ে স্থানীয় এসব দালালদের অবাধ বিচরণ ও আধিপত্য বিস্তারের করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে, জরুরি বিভাগের ভেতরে-বাইরে, বহির্বিভাগে ও চিকিৎসকদের প্রায় প্রতিটি দরজার সামনে এবং অন্তর্বিভাগের সব কটি ওয়ার্ডেই দালালদের অপতৎপরতা।

 

হাসপাতাল এলাকা ঘুরে আরো দেখা গেছে, হাসপাতাল রোডের রাস্তার পাশে দুই দিকে প্রায় অর্ধশত ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজি ল্যাব ও প্রাইভেট চেম্বার গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে দু-তিনটির লাইসেন্স থাকলেও বেশির ভাগেরই কোনো অনুমোদন নেই। এদিকে দালালদের দৌরাত্ম্য ও তাঁদের রাজনীতির কাছে নিরুপায় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।দালালদের একটি এক চিত্র দেখা যায়, হাসপাতালের সহকারী মেডিক্যাল কর্মকর্তা আশিকা আক্তারের রুমে গিয়ে। স্থানীয় এক ক্লিনিকের দুই দালালকে নিয়ে বসে খোশগল্পে মেতে আছেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গেলেই ‘আমরা রোগী না ক্লিনিকে কাজ করি’ বলে বের হয়ে যান। পরে কথা হয় ওই সহকারী মেডিক্যাল কর্মকর্তা আশিকা আক্তারের সঙ্গে। দালালদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় রোগীদের সঙ্গে কক্ষে ঢুকে আবার রোগীর সঙ্গেই বের হয়ে যান তাঁরা। এখন রোগী কম, তাই রুমে বসেছিলেন। তাঁরা তো সব ডাক্তারের রুমে রুমেই যান। কেউ তো তাঁদের রুমে ঢুকতে নিষেধ করেন না।’

 

মহাদান ইউনিয়নের বনগ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা পারবীন আক্তার (২৬) বলেন, পেটের ব্যথা নিয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। ডাক্তার কিছু পরীক্ষা করতে দেন। এ সময় কয়েকজন দালাল এসে ঘিরে ধরে বলে আপা কি হয়েছে কাজটা দেখি কি লিখেছে। আমার সাথে আসেন আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি পরীক্ষা করার জন্য। হাসপাতালের ভিতরে কোন পরীক্ষা হবে না।

 

ভুক্তভোগী পাপিয়া বেগম নামে এক রোগীর স্বজনরা বলেন, এসব দালালরা জোর করে রোগীকে ক্লিনিকে নিয়ে যায় পরীক্ষা করার জন্য। পরীক্ষা সময় যদি লাগে ৩০মিনিট সেখানে ২ ঘন্টা বসিয়ে রাখেন। যাতে সরকারী হাসপাতালের ডাক্তারের কাছে আবার এসে রিপোর্ট দেখাতে না পারে। আর রিপোর্ট দেখাতে না পারলেইতো তাদের চেম্বারে গিয়ে ফিস দিয়ে ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখাতে হবে।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সাহেদুর রহমান সাহেদ বলেন, ‘দালালদের কাছে কর্তৃপক্ষ অসহায়। হাসপাতাল এলাকা দালালমুক্ত করতে বারবার আইন-শৃঙ্খলা সভায় আলোচনা করেও লাভ হয়নি।

 

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।