১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।সোমবার

সরিষাবাড়ীতে অভিযোগ তুলে বরখাস্ত, বিদ্যালয়ে তদন্তে আরবিট্রেশন বোর্ডের তদন্ত দল।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুর প্রতিনিধি :

 

জামালপুরের সরিষাবাড়ী বগারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ে নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বরখাস্ত এবং সরকারী নিয়ম বহির্ভুতভাবে নতুন করে (নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটারপদে অন্যজনকে নিয়োগ দেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে গত রোববার (১২সেপ্টেম্বর) তদন্ত শুরু করেছে আরবিট্রেশন বোর্ডের তদন্ত দল।

 

জানা যায়, উপজেলার বগারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ২০১০ সালে ইব্রাহিম খলিলকে সরকারী বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেয়া হয়। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন ২০১৫ সালে অবসর নেন। পরে ২০১৬ সালে গুলজার হোসেন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহনের কিছুদিন পর থেকেই নিম্নমান সহকারী ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেন প্রধান শিক্ষক গুলজার হোসেন।

 

এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আপিল এন্ড আরবিট্রেশন বোর্ড কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ২০১৯ সালে নিয়ম বহির্ভুতভাবে ইব্রাহিম খলিলকে চুড়ান্ত ভাবে বরখাস্ত করেন। পরে সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না কর ওই পদে শামীম হোসেন নামে অপর একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

 

বিষয়টি জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক আপিল এন্ড অরবিট্রেশন বোর্ডকে চুড়ান্ত বরখাস্তের বিষয়টি অবহিত করেন। প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে এ নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে প্রধান শিক্ষক যথাযথ ব্যাখা প্রদানে ব্যর্থ হন।

 

পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১২ জুন আপিল এন্ড অরবিট্রেশন কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরেজমিনে বিষয়টি তদন্তের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ এর

উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু নুর মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি গত রোববার ১২সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন।

 

এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক ফারুক বলেন, ইব্রাহিম খলিলকে চুড়ান্ত বহিষ্কার ও শামীম হোসেনকে নিয়োগ দেয়া দুটোই নিয়ম বহির্ভুতভাবে হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক গুলজার হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু নুর মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, তদন্তের বিষয়ে এখন কিছু বলা যাবে না। এটা গোপনীয় বিষয়।

 

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, আপিল এন্ড আরবিট্রেশন বোর্ডের ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দল বগারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযোগের তদন্ত করছেন।

 

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।