নিয়ামুল ইসলাম, বগুড়া প্রতিনিধি ।
ব্যস্ত পৃথিবীতে জীবন ও জীবিকার তাগিদে আমাদের নিরন্তর ছুটে চলা। ক্ষণস্থায়ী এ জীবনে কত মধুর স্মৃতি সঞ্চার হয়, যা ক্ষণে ক্ষণে স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে। এই সবের মধ্যে শৈশবের স্মৃতি গুলো বেশি নাড়া দেয়।
বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের মতো তখন হাতে এতো মোবাইল ফোন ছিলো না। ছিলো না গেইম কিংবা কার্টুনের প্রতি আসক্তি হওয়ার সুযোগ। কেবল ছিলো শৈশবের দূরন্তপনা আর এক ভাবনাহীন প্রাণোচ্ছল জীবন। ইন্টারনেটে গেইম খেলার পরির্বতে ছেলেবেলায় ছিলো, ফুটবল, ক্রিকেট, হাডুডু, কানামাছি কিংবা লুকোচুরি খেলা, বড়শি দিয়ে মাছ ধরা, হরেক রকম গাছ দিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় ভরে ফেলা, রাতে বাড়ির আঙ্গিনায় বসে সকলে মিলে গল্প করা, বৃষ্টি দিনে মাটিতে পিচ্ছিল খেলা, কবিতা গানের আসর প্রতিযোগিতা, মাটির ব্যাংকে টাকা জমানো আবার বাড়ির বাশে মেলায় যাওয়ার জন্য সকালে শখের ব্যাংক ভেঙ্গে টাকা নিয়ে বন্ধুদের সাথে মেলায় ঘুরে আসা এই দিন গুলো কি চাইলে ভোলা যায়!
ছেলেবেলায় হেডফোন কানে গুজে গান শোনা হতো না। তবে সাদাকালো টিভিতে আলিফ-লায়লা ও সাপ্তাহিক বাংলা ছায়া ছবির দেখার উদগ্রীব হয়ে থাকতাম। আকাশে বিমান যাওয়ার আওয়াজ শুনে দৌড়ে যেতাম দেখতে আর মনে মনে ভাবতাম মানুষ কিভাবে এতো উঁচুতে বিমানে চড়ে?
সরষে খেত দেখলে ছবি তুলতে যেতাম না বরং একদৃষ্টে তাকিয়ে দিগন্ত বিস্তৃত হলুদের সমারোহ উপভোগ করতাম। যা আজকের দিনে আর দেখা যায় না। সেই দিন গুলো কথা এখন বার বার মনে পড়ে।
মুয়াজ্জিনের আজান সাথে সাথে পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে সকালে । আর বন্ধুদের সাথে মক্তবে পাঠদানের জন্য যাওয়া কতোই না মজার। দিন গুলো যেনো না ভুলার মতো ছিলো। চিত্রতে যে দুই ছেলেকে দেখা যাচ্ছে ধুনট উপজেলা জোড়খালী থেকে তোলা ছবি ওই দিন গুলো কথা মনে করে দেয়।
Leave a Reply