১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

শেষের পথে মাইনী নদীতে সেতু নির্মাণ কাজ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ।

 

খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার ছোট মেরুং এলাকার জনগন ভাবতেই পারছেন না জনবহুল এ এলাকার সাথে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি (মারিশ্যা) উপজেলার যোগাযোগ স্থাপনে মাইনী নদীর উপর দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২য় পর্যায় (RIDP CHT-2) এর আওতায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু ও সেতুর দুপারে ৫০ মিটার সড়ক নির্মাণ কাজ শেষের পথে। এলাকাবাসী মুখিয়ে আছেন ব্রিজ পার হয়ে সড়কে কখন বাঘাইছড়ি (মারিশ্যা) যাবেন। শেষ হয় না তাদের অপেক্ষার প্রহর। কবে, কখন সেই শুভক্ষণ ধরা দেবে এমন স্বপ্নেই বিভোর এ জনপদের হাজার হাজার মানুষ। মুখিয়ে আছেন সবাই, কবে সেতু পেরিয়ে মুহূর্তেই পৌঁছবেন বাঘাইছড়ি (মারিশ্যা)।

 

বর্তমানে দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে ১০ নং পুলিশ ক্যাম্প হয়ে বাঘাইছড়ি’র (মারিশ্যা) দুরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার সড়ক। যেতে সময় লেগে যায় প্রায় দুই ঘণ্টা। তবে ছোট মেরুং এলাকায় মাইনী নদীর উপর নির্মিত এ সেতুটির কাজ শেষ হলে দীঘিনালা সদর থেকে ছোট মেরুং হয়ে বাঘাইছড়ির (মারিশ্যা)দুরত্ব হবে প্রায় ২০ কিলোমিটার। পাশাপাশি সময়ও বেচে যাবে অনেক৷

 

জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২য় পর্যায় (RIDP CHT-2) প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে অনুমোদিত প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ছোট মেরুং বাজার সংলগ্ন মাইনী নদীর উপর সেতু ও সেতুর দুপারে ৫০ মিটার সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ ২০২০ সাল থেকে শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সেলিম এন্ড ব্রাদার্স। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার আশ্বাস দিচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

 

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রাজু আহমেদ জানান, আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যেই আশাকরি সেতু ও সেতুর উভয় পার্শে ২৫ মিটার করে ৫০ মিটার সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হবে৷ এ কাজটি শেষ হলেই মেরুং-বাঘাইছড়ি(মারিশ্যা) সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হবে।

 

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহমান কবির রতন বলেন, শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান বাবু কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ কাশেম মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ছোট মেরুং বাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে যাচ্ছে।

 

এ বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ কাশেম জানান, দীঘিনালায় অকল্পনীয় উন্নয়ন দৃশ্যমান। ছোটমেরুং এলাকার পাশাপাশি হাচিনসনপুরেও সেতু নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নে দীঘিনালা একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তরিত হচ্ছে।

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।