মোঃ আলমগীর ইসলাম শেরপুর প্রতিনিধি।
একের রক্ত অন্যের জীবন রক্তই হোক রক্তসৈনিকের বন্ধন এ স্লোগান কে ধারন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রক্তসৈনিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ২৪ শে সেপ্টেম্বর জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত র্যালি, কেক কাটা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠানে উদ্ভোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান নাহিদ চৌধুরী। এ সময় তিনি সংগঠন এর কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। সংগঠনে সফলতা কামনা ও পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
রক্তসৈনিক বাংলাদেশের সভাপতি, সমাজ-কর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) এ টি এম জিয়াউল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন, জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোবারক হোসেন, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন রহমান অমি, শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাসরিন রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন, প্রথম আলোর শেরপুর প্রতিনিধি দেবাশীষ সাহা রায়, শ্রীবরদী রক্তসৈনিকের উপদেষ্টা শাকের মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আল আমিন রাজু।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা একদশক পূর্তি উপলক্ষ্যে কেক কাটেন। সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগে
সংগঠনের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে র্যালি বের হয়ে শহরের গ্রুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় আগের স্থানে এসে শেষ হয়। এতে রক্তসৈনিক এর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রক্তসৈনিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ টি উদ্যোগ নেওয়া হয়, এর মধ্যে রয়েছে ১০ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীর সারাবছর রক্ত সরবরাহ, ১০ ব্যাগ রক্তদান, ১০ টি বৃক্ষ রোপণ, ১০ জন অসহায় মানুষকে খাওয়ানো, ১০ জনকে বস্ত্র উপহার প্রদান, ১০ বক্স মাক্স বিতরণ, ১০ টি মশারী বিতরণ, ১০ টি ঝুড়ি প্রদান, ১০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, ১০ সারি মাল্টার গাছ লাগানোর।
Leave a Reply