৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

শিক্ষকের প্রহারে সাড়ে চার বছরের শিশু ইসমাইল এখন হাসপাতালে ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ইমরান হাসান বুলবুল, ত্রিশাল(ময়মনসিংহ)প্র­তিনিধিঃ

ময়মনসিংহের ত্রিশালে মুফতি আবু সাঈদ নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের প্রহারে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে সাড়ে চার বছরের শিশু ইসমাইল। বাবা-মার ডির্ভোস হওয়ায় দাদুর বাড়িতে পালিত শিশুটি পরিবার ভয়ে মুখ খোলতে নারাজ! মাদ্রাসা কমিটি ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে রাজি হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাঈদ লাপাত্তা।

মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের চাউলাদি আমতলা বাজারে দুষ্টুমি করায় শিশুটিকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় মারকাযুশ শায়খ হুসাইন আহমদ মাদানী (রহ.) মাদ্রাসার ওই শিক্ষক। মারতে মারতে শিশুটিকে একপর্যায়ে সিঁড়ি থেকে নিচে ফেলে দেন তিনি। এতে তার মাথা ও মুখে মারাত্মক জখমের সৃষ্টি হয়। শিশুটি এখন ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি রয়েছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়েছে বেশ কিছুদিন হলো। বাবা সুলতান মিয়া আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। শিশুটি বৃদ্ধ দাদির কাছে থেকে বড় হচ্ছে। চঞ্চল প্রকৃতির হওয়ায় মাদ্রাসার সামনে সে দুষ্টুমি করছিল। এ কারণে তাকে ধরে নিয়ে বেদ দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেন মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম আবু সাঈদ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মুনসুর বলেন, শিশুটিকে বেশ মারধর করা হয়েছে। তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মুখ ও মাথার আঘাতের চিহ্ন একটু গভীর। তাকে আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি।

 

মারধরের সত্যতা স্বীকার করে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটি এই শিশুটির যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করব।

মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি এবিএম আরিফুর রহমান সেলিম বলেন, আমি ঘটনাটি জানার পর শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। তার চিকিৎসা চলছে। ঘটনাটি অনাকাংক্ষিত। হুজুর এর আগে কখনও এমনটি করেননি। এখন কেন এমনটি হলো তা আমিও বুঝতে পারছি না।

 

কর্মস্থালে না থাকায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুফতি সাইদ অপরাধ স্বীকার করে বলেন, তাকে এভাবে মারা ঠিক হয়নি। তবে আমি তাকে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেইনি। সে আগেই সিঁড়ি থেকে পড়ে মাথায় ও মুখে আঘাত পেয়েছে। এরপরেও কেন তাকে মারা হলো এমন প্রশ্নে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি তিনি। আপনি এখন কোথায় আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ত্রিশাল আছি বলে লাইনটি কেটে দেন।

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।