২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।বুধবার

শার্শায় উপজেলাতে কিছুতেই থামছে না নির্বাচনী সহিংসতা ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

মোঃ নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি ।

 

আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শার্শা উপজেলায়

কিছুতেই থামছে নির্বাচনী সহিংসতা। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, সহিংসতা যেন ততই বাড়ছে। উপজেলার কোথাও না কোথাও, প্রতিদিনই দেশীয় অস্ত্র, বোমা কিংবা গুলাগুলি নিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

এতে করে ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে গোটা উপজেলা জুড়ে। কখনো নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আক্রমণ করছে বিদ্রোহী প্রার্থীর

সমর্থকদের। আবার কখনো বিদ্রোহী প্রার্থীর

সমর্থকরা আক্রমণ করছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের উপর। আক্রমণের উভয় পক্ষের

সমর্থকদের হতাহতের সংখ্যা দিনদিন বেড়েছেই চলেছে।

 

প্রশাসনিক ভাবে উভয় পক্ষকে থানায় ধরে এনে আর সহিংসতা ঘটাবে না, এমন মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও, ফিরে গিয়ে আবার তারা জড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী সংঘাতে।

 

সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাত ৮সময় উপজেলার গোগা ইউনিয়নের পাঁচ ভুলোট দাখিল মাদরাসার সামনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুর রশিদ ও তবিরব রহমান সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় গোগা ইউনিয়নের অগ্রভুলোট এলাকার ফজর আলী (৪০), আশরাফুল ইসলাম (৩০) ও রবিউল ইসলাম (৪০) আহত হন। এ সময় বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

 

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ডিহি ইউনিয়নের পন্ডিতপুর গ্রামের শিশুতলার মোড় নামক স্থানে মোরগ মার্কা প্রতীকের মেম্বর প্রার্থী খানজাহান আলী ও তালা মার্কা প্রতীকের কামরুজ্জামান জজ মিয়ার কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে

উভয়পক্ষের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে কামরুজ্জামান জজ মিয়ার কর্মী সমর্থক পন্ডিতপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান (৪০), আমির আলী কবিরাজ (৬৫), জাকির হোসেন (৩৬), ইউসুফ (৩২), আনোয়ার (৫০), আলাল (৩২), চন্দ্রপুর গ্রামের আনসার আলী (৫৫), তরিকুল ইসলামসহ (২৬) ১৫ জন এবং খানজাহান আলীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে পন্ডিতপুর গ্রামের রুবেল (৩৫), আ. হালিম (৫৫), খলিশাখালী গ্রামের মিশির (৫৬) সজিব (২৫), জয়নাল (৪০), শাহিন আলম (৫০), চন্দ্রপুর গ্রামের মনির হোসেন মধু (৩৭) আহত হন।

সংঘর্ষের পর উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

 

২৩ অক্টোবর গোগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী তবিবর রহমানের মনোনয়ন নিতে তার সমর্থকরা যশোর যান। বাড়ি ফেরার পথে গোগা বাজারে আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যানের সমর্থকরা তবিবর রহমানের সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে ১২ জন আহত হন। আহত ১২ জনের মধ্যে আলী ফকির ১২ নভেম্বর শুক্রবার ভোরে মারা যান।

 

এদিকে স্থানীয় সাধারণ জনতা জানান, ২৮ নভেম্বর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেভাবে সংঘর্ষ বেড়ে চলেছে, তাতে করে নির্বাচন আসা পর্যন্ত কি হবে বলা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে শার্শা উপজেলা রণক্ষেত্রে পরিনত হবে বলে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মনে করেন । তাই তারা পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে ও কঠোর হস্তে দমন করার আহবান জানান।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।