নাজিরুল ইসলাম,শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়া শাজাহানপুরে হিমাগার মালিকদের বিরুদ্ধে সংরক্ষিত আলু বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
কাহালু উপজেলার খলিলুর রহমানের মালিকানাধীন টেংগামাগুরে অবস্থিত ফাতেমা সাইদুর হিমাগার ও জামাদারপুকুর নিউ আফরিন কোল্ড স্টোরেজ ২ টির বিরুদ্ধে ৯ হাজার ১৫৮ বস্তা আলু বিক্রির অভিযোগ তুলছেন আলু ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সোহরাব আলী সরকার।
ধুনট উপজেলার আলু ব্যবসায়ী সোহরাব আলী সরকার জানায়, এ বছরের ফেবরুয়ারি মাসে খলিলুর রহমান মালিকানাধীন শাজাহানপুর উপজেলায় জামাদারপুকুর এলাকায় নিউ আফরিন কোল্ড স্টোরেজে ২৩ হাজার ৪৬৫ বস্তা ও টেংগামাগুর ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে ২০৭২৫ বস্তা মোট ৪৪ হাজার ১৯০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেন। গত মাসে আলু বিক্রি করতে গেলে মালিকপক্ষ আমার সংরক্ষিত ৯১৫৮ বস্তা আলু হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়।পরবর্তীতে শাজাহানপুর থানা পুলিশ উপস্থিতিতে কোল্ড স্টোর ম্যানেজার আবু ওবায়দা স্বীকার করেন মালিক পক্ষ ৯১৫৮ বস্তা আলু বিক্রয় করেছে।
নয়মাইল এলাকার আলু ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন জানান, টেংগামাগুর ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে কতৃপক্ষ আমার সঙ্গে প্রতারনা আশ্রয় নিয়ে ছিল পরে অবশ্য কঠোর হস্তক্ষেপে পাওনা টাকা দ্রত উদ্ধার হয়েছে।বিগত সময়ে কোল্ড স্টোর ২ টি মালিক পক্ষ ম্যানেজারে মাধ্যমে অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী ও সাধারণ কৃষকদের আলু আত্মসাৎ করেছেন।
নিউ আফরিন ও ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে মালিক খলিলুর রহমান ও ম্যানেজার রুবেল হোসেন সঙ্গে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের ফোন রিসিভ করেন না।
পরবর্তীতে গতকাল শুক্রবার বিকালে উভয় কোল্ড স্টোরেজ গিয়ে শ্রমিক ছাড়া মালিক পক্ষ কাউকে পাওয়া যায়নি।
শাহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নান্নু খান, হিমাগার মালিক পক্ষের আলু বিক্রির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন হিমাগার কতৃপক্ষ স্বীকার করেছেন তারা ৯১৫৮ বস্তা আলু বিক্রি করেছেন।হিমালয় মালিক অনুমতি ছাড়া এভাবে অন্যর সংরক্ষিত আলু বিক্রি করতে পারে না।তিনি অন্যয় করেছেন। প্রাথমিক ভাবে হিমাগার মালিক খলিলুর রহমান আলু বিক্রি অবশিষ্ট আলু কোল্ড স্টোরেজ ভাড়া মধ্যে পরিশোধ করতে চান।
শাহজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বললে, অভিযোগ সূত্রে তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা জানা গেছে। এ বিষয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply