১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

শাজাহানপুরে হিমাগার মালিকের বিরুদ্ধে আলু বিক্রির অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নাজিরুল ইসলাম,শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়া শাজাহানপুরে হিমাগার মালিকদের বিরুদ্ধে সংরক্ষিত আলু বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

কাহালু উপজেলার খলিলুর রহমানের মালিকানাধীন টেংগামাগুরে অবস্থিত ফাতেমা সাইদুর হিমাগার ও জামাদারপুকুর নিউ আফরিন কোল্ড স্টোরেজ ২ টির বিরুদ্ধে ৯ হাজার ১৫৮ বস্তা আলু বিক্রির অভিযোগ তুলছেন আলু ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সোহরাব আলী সরকার।

 

ধুনট উপজেলার আলু ব্যবসায়ী সোহরাব আলী সরকার জানায়, এ বছরের ফেবরুয়ারি মাসে খলিলুর রহমান মালিকানাধীন শাজাহানপুর উপজেলায় জামাদারপুকুর এলাকায় নিউ আফরিন কোল্ড স্টোরেজে ২৩ হাজার ৪৬৫ বস্তা ও টেংগামাগুর ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে ২০৭২৫ বস্তা মোট ৪৪ হাজার ১৯০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেন। গত মাসে আলু বিক্রি করতে গেলে মালিকপক্ষ আমার সংরক্ষিত ৯১৫৮ বস্তা আলু হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়।পরবর্তীতে শাজাহানপুর থানা পুলিশ উপস্থিতিতে কোল্ড স্টোর ম্যানেজার আবু ওবায়দা স্বীকার করেন মালিক পক্ষ ৯১৫৮ বস্তা আলু বিক্রয় করেছে।

 

নয়মাইল এলাকার আলু ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন জানান, টেংগামাগুর ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে কতৃপক্ষ আমার সঙ্গে প্রতারনা আশ্রয় নিয়ে ছিল পরে অবশ্য কঠোর হস্তক্ষেপে পাওনা টাকা দ্রত উদ্ধার হয়েছে।বিগত সময়ে কোল্ড স্টোর ২ টি মালিক পক্ষ ম্যানেজারে মাধ্যমে অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী ও সাধারণ কৃষকদের আলু আত্মসাৎ করেছেন।

 

নিউ আফরিন ও ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে মালিক খলিলুর রহমান ও ম্যানেজার রুবেল হোসেন সঙ্গে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের ফোন রিসিভ করেন না।

 

পরবর্তীতে গতকাল শুক্রবার বিকালে উভয় কোল্ড স্টোরেজ গিয়ে শ্রমিক ছাড়া মালিক পক্ষ কাউকে পাওয়া যায়নি।

 

শাহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নান্নু খান, হিমাগার মালিক পক্ষের আলু বিক্রির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন হিমাগার কতৃপক্ষ স্বীকার করেছেন তারা ৯১৫৮ বস্তা আলু বিক্রি করেছেন।হিমালয় মালিক অনুমতি ছাড়া এভাবে অন্যর সংরক্ষিত আলু বিক্রি করতে পারে না।তিনি অন্যয় করেছেন। প্রাথমিক ভাবে হিমাগার মালিক খলিলুর রহমান আলু বিক্রি অবশিষ্ট আলু কোল্ড স্টোরেজ ভাড়া মধ্যে পরিশোধ করতে চান।

 

শাহজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বললে, অভিযোগ সূত্রে তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা জানা গেছে। এ বিষয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।