শাজাহানপুরে সুদের টাকা আদায়ে কান কাটা মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ১
নাজিরুল ইসলাম, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় সুদের টাকা আদায়ের দাবিতে কান কেটে দেয়ার ঘটনায় মো. মজনু মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গাবতলী উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যা ব-১২ বগুড়ার ক্যাম্প।
মজনু মিয়া শাজাহানপুরের রামকৃষ্ণ তালতা গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে মঙ্গলবার রামচন্দ্রপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর নাম মোঃ এনামুল হক।
র্যাব জানায়, চিকিৎসার প্রয়োজনে এনামুল তার স্ত্রী নাজমা বেগমের স্বর্ণের কানের দুল (আট আানি ওজনের একজোড়া) বন্ধক রেখে মজনুর কাছে থেকে ২০ হাজার টাকা চড়া সুদের ওপর ঋণ নেন। এই টাকার জন্য প্রতি সপ্তাহে ২ হাজার টাকা সুদ দিতে হত তাকে। সম্প্রতি দুই সপ্তাহ সুদের টাকা দিতে না পারায় তার ওপর চড়াও হন মজনু। লোকজন নিয়ে এসে তাকে মারধর করার একপর্যায়ে এনামুলের কান কেটে দেন মজনু।
এ ঘটনায় এনামুলের স্ত্রী নাজমা বেগম শাজাহানপুর থানায় মামলা করলে র্যাব বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে গাবতলী থেকে মূল অভিযুক্ত মজুন মিয়াকে গ্রেফতার করে।
গত বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করেছেন বগুড়া র্যাব-১২ ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত মজনু মিয়াকে শাজাহানপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এনামুলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়া তার সহযোগিদের নিয়ে এনামুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে এনামুলকে মারধর করেন।
এসময় তার কানের কিছু অংশ ছিঁড়ে ফেলা হয়। বর্তমানে এনামুল বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত এনামুলের স্ত্রী বাদী মঙ্গলবার রাতে শাজাহানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে মজনুসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন, জহুরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শাফি ও আজিজুর রহমান। তারা সবাই রামচন্দ্রপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এনামুল পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক। অন্যের গাড়ি ভাড়া চালিয়ে যা পায় তাই দিয়ে কোন রকমে সংসার চলে তাদের।
Leave a Reply