২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

শাজাহানপুরে শীতকালীন শাক সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নাজিরুল ইসলাম, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:

বাজারে আগাম শীতকালীন শাক সবজি তুলতে পারলেই বেশি লাভ। সে লক্ষ্যেই বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার কৃষকেরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 

করোনার প্রভাবে আর বৃষ্টিতে শীতকালীন আগাম সবজি জমি প্রস্তুত করতে এবছর কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে কৃষকদের।

 

উপজেলার বামুনিয়া, শাহনগর, কামারপাড়া, আমরুল অঞ্চল শাকসবজি চাষের প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও বেগুন চাষের জন্য দাঁড়িগাছা, মরিচ চাষে গোহাইল ও জামাদার এলাকার সুখ্যাতি রয়েছে। বাজারে আগাম টমেটো আনতে দুরুলিয়া থেকে খোট্রাপাড়া এলাকার কৃষকরা মাচা তৈরি করে টমেটো চাষ করছেন।

 

উপজেলার প্রায় সব জায়গায় কমবেশি শীতকালীল সবজি মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, শীম, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক ও পেঁয়াজের চাষ হয়।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলায় ১২৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার আড়িয়া ও চোপিনগর ইউনিয়নের কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা যায়, চাষিরা শীতের আগাম সবজির চারা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ সবজির চারা জমিতে রোপণ করছেন। আবার কেউ কেউ জমিতে আগাছামুক্ত করতে নিঁড়ানি দিচ্ছেন।

 

চোপিনগর এলাকার চাষি এনামুল হকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, তার ৬০ শতক জমিতে মূলার সঙ্গে লাল শাক চাষ করেছেন। পুরুষ শ্রমিকের মজুরি বেশি, তাই নারী কৃষক দিয়ে জমিতে আগাছামুক্ত করছেন তিনি।

 

বামুনিয়া চাঁদ বাড়িয়া গ্রামের চাষি সাইফুল ইসলাম জানান, ‘এ বছর প্রথমবার ২০ শতক জমিতে আগাম ফুলকপির চাষ করেছি। ইউনাইটেড সীড বীজ কোম্পানি মুক্তা জাতে চারা সংগ্রহ করে রোপণ করি। ফলন খুব ভালো হয়েছে, চাহিদা বেশি থাকায় জমি থেকেই ১০০ টাকা কেজি দরে পাইকাইরা ফুলকপি নিয়ে যাচ্ছেন। সব খরচ বাদ দিয়ে ৫০ হাজার টাকার মত লাভ হবে বলে আশা করছি ।’

 

দাঁড়িগাছা এলাকার বেগুন চাষি মতিউর রহমান জানান, ‘এ বছর ৩ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছি। বৃষ্টিতে গাছের বৃদ্ধি কম হলেও, এখন বেগুন গাছগুলো স্বাভাবিক আছে। আবহাওয়া এমন থাকলে আগামী মাসে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।’

 

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম জানান, শীতকালীন সবজির দিকে উপজেলার কৃষকদের বিশেষ নজর থাকে। এ বছর ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষাবাদ হচ্ছে। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নানা রকম সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছি।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।