১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

শাজাহানপুরে মিথ‍্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

ইসলাম, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:

শাজাহানপুর উপজেলাধীন বগুড়া পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সহ অন‍্যান‍্যের বিরুদ্ধে মিথ‍্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় কাউন্সিলের ব‍্যক্তিগত অফিসে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অত্র ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খোরশেদ আলম।

 

এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন; আমার বেতগাড়ী এলাকায় গত ১৬ নভেম্বরে ছোট ভাই হোসেন আলীর উপর একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে সে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ফলে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রকৃত দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবী করছি। আমি ও আমার এলাকাবাসী ঘটনাটি জেনে খুবই মর্মাহত হয়ে যখন প্রতিবাদ মূখর হয়ে উঠি ঠিক তখন তার কিছুদিন পরেই শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় । সেই মামলাতে আমাকে ১নং আসামী আমার বড় ছেলে ইকবাল মাহমুদ রাশেদকে ৩নং আসামী এবং আমার ছোট ছেলে রাকিব হাসানকে ৪নং আসামী করে মোট ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি আমি জেনে নির্বাক ও হতভম্ব হয়ে পড়ি এবং আমার এলাকাবাসীরাও প্রায়ই বিক্ষুব্দ হয়ে পরে। এর পর থেকে আমরা ঘটনার বিষয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখি যে এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধী কে বা কাহারা। এর এক পর্যায়ে বিভিন্ন মারফত জানতে পারি ভিকটিম নিজেই একাধিক বার উচ্চারণ করেছে আমাদের বাড়ীর পাশে বাইপাস এলাকাতে ইট ভরাট কাজে তিনি একজন ট্রাকের মালিক হিসেবে ট্রাক পরিবহনের কাজ করতেন এটা আমরা মিডিয়া ও পত্রিকা মারফত জেনেছি। ঐ কাজে আরেকটা পক্ষের সাথে মূল যে পক্ষ তার সাথে বিরোধ হয়। সেই বিরোধটা নাকি তিনি নিষ্পত্তি করে দিয়েছে সেটিও আমরা আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারি। এতেই নাকি বিরোধী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর হামলা করেছে। পরবর্তীতে সে গত ২২ নভেম্বর শাজাহানপুর থানায় আমার ও আমার সন্তানদের অভিযুক্ত করেছে। পরে আমি আইনী প্রক্রিয়ায় জামিনে আছি এবং আমার সন্তানদের কেও জামিনের জন্য আইনের আশ্রয় গ্রহণ করছি। ইতিপূর্বে এ ঘটনায় ভিকটিম বেতগাড়ী বাইপাস মোড়ে প্রতিবাদ স্বরুপ একটি মানববন্ধন করেছে। সেই মানববন্ধনে আমার ও আমার সন্তানদের ছবি সন্ত্রাসীদের সাথে ছাপিয়ে প্রতিবাদ করেছে। এতে আমি সমাজে কিছুটা সম্মানের ক্ষুণ্ন হয়েছি। তার পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল শুক্রবার সকাল আমি আমার শুভাকাঙ্খীদের নিয়ে মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেই। আমার মানববন্ধনের খবর পেয়ে ঠিক একই সময়ে তারাও মানববন্ধন করার জন‍্য এলাকায় মাইকিং করতে থাকে। পরে আমি যাতে করে সহিংসতা না হয় তার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে আমরা মানববন্ধন স্থগিত ঘোষনা করেছি।

এবিষয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে কথা বললে তিনি আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অবশেষে আমি এই মিথ‍্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি কামনা করছি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।