৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

শাজাহানপুরে একযোগে সকল ইউনিয়নে কোভিড-১৯ টিকাদানের শুর: পরিদর্শনে উপজেলা প্রশাসন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নাজিরুল ইসলাম, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০ টিকাকেন্দ্রে প্রথম ধাপে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল থেকে রোদ-বৃষ্টি অপেক্ষা করে টিকাকেন্দ্রগুলোতে আগ্রহ নারী ও পুরুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

 

আজ শনিবার সকাল ৯ টা থেকে উপজেলার ১০ টি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু এবং শেষ হয় বিকাল ৩ টা।

 

প্রথম পর্যায়ে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ৬০০টি টিকা টোকেনধারীকে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।প্রতিটি ইউনিয়ন ১ কেন্দ্রে ৩ টি বুথর মাধ্যমে টিকা দেওয়া হয়েছে । টিকাকার্যক্রমে প্রত‍্যেক কেন্দ্রে ৬ জন টিকাদানকর্মী ও তাদের সহযোগিতা করার জন্য ৯ জন স্বেচ্ছাসেবক দ্বায়িত্ব পালন করছে।

 

সরেজমিনে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষের চেয়ে নারীর টিকা নিতে আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মত। দুপুরে প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করে টিকা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবগুলো কেন্দ্র টিকা প্রদান শেষে টিকা গ্রহণকারীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করেন। এসময় টোকেন ছাড়া টিকা নিতে আগ্রহী অনেক তরুণ তরুণী ও বয়স্ক নারী পুরুষ টিকা না পেয়ে ফিতর যেতে দেখা গেছেন।

 

আমরুল ইউনিয়ন নগর মাদ্রাসাকেন্দ্রে টিকা নিতে আসা নগর হাট গ্রামের রেহেনা বেগম বলেন, সকাল সাড়ে ৯ টায় টিকা নিতে মাঠের মধ্যে রোদে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অবশেষে টিকা নিয়েছি। তবে আমার শরীরে কোন সমস‍্যা দেখা দেয়নি। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছি।

 

গোহাইল ইউনিয়নের আফজাল হোসেন বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যর কাছ থেকে টিকা টোকেন আর ভোটার কার্ডের ফটোকপি নিয়ে টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি আর কতক্ষণ পরে টিকা নিতে পারবো বুঝতে পারছি না।

 

কথা হয় মাদলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীর সঙ্গে তিনি জানান, একটু আগে টিকা নিয়েছি। আমার কোন অসুবিধা হয়নি।

 

৩২৬ জনকে রোববার টিকা নেওয়ার জন্য এসএমএস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শুধু রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে টিকা নিতে এসেছে মানুষ। ৩২৬ জনকে রোববার টিকা নেওয়ার জন্য এসএমএস পাঠানো হয়েছিল।

 

উপজেলা গোহাইল ইউনিয়নে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সকল ইউনিয়নের প্রত‍্যেক টিকাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস‍্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি এম সুলতান আহম্মেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মিরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলীপ কুমার চৌধুরী, খরনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীন, আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, মাদলা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, চোপিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান, আমরুল ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটল, আশেকপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম, গোহাইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু, খোট্রাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুক, মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি একেএম জিয়াউল হক জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান প্রমুখ।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোতারব হোসেন বলেন, উপজেলা ইউনিয়ন ওর্য়াড পর্যায়ে প্রথম দিন ১০টি টিকাকেন্দ্রের জন্য ৬ হাজার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন টিকাকেন্দ্রে টিকা নিতে টিকা কার্ড ও ভোটার কার্ড অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।

 

উপজেলা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৬০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।প্রথম পর্যায়ে যারা টোকেন পেয়েছেন তারাই ভ্যাকসিন পাচ্ছে।

এ সময় তিনি, বাকিদের ধৈর্য ধারন করার জন্য অনুরোধ করেন। পর্যায়ক্রমে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া আশ্বস্ত করেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।