নাজিরুল ইসলাম, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শাজাহানপুরের আড়িয়া ইউপির আড়িয়া বাজার নামক এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন পথচারীরা। এমন ঘটনার পরেও ঐ এলাকায় দ্রতগামী যান চলাচলের গতি রোধে নেই কোন ব্যবস্থা। চরম অতঙ্কে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের।
শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টায় অজ্ঞাতনামা এক বাস চাপায় প্রাণ হারালেন মেরিনা খাতুন (৭১) নামের বৃদ্ধা। তিনি উপজেলার শৈলধুকরী গ্রামের মৃত মোজাফফর আলী আকন্দের স্ত্রী।
নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, মা তিন দিন আগে বগুড়ার শেরপুরে আমার বোনের বাসায় গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে আড়িয়া বাজার এসে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তা পারাপার হতেই বাসের ধাক্কায় নিহত হন।
সরেজমিনে প্রতক্ষদর্শীরা জানান, বাজার এলাকা হওয়ার পরেও বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে বড় বড় যানবাহন। তাছাড়াও মহাসড়কে নিষিদ্ধ থ্রী হুইলার সিএনজি গুলোও হাইওয়ে টহল উপেক্ষা করে চলছে দেধারছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে এমন প্রাণহানী দূর্ঘটনা।
বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনায় দেখা গেছে; গত ০৯ সেপ্টেম্বরে অজ্ঞাত বাসের ধাক্কায় একজন বৃদ্ধা ভিখারিনীর মৃত্যু হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বরে ওভারলোড ও দ্রুতগতিতে চলাচলের কারণে এই একই এলাকায় একটি ট্রাক উল্টে এক যুবকের মৃত্যু হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বরেও হানিফ পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ। এমনি ধারাবাহিক ভাবে ঘটেছে দূর্ঘটনা।
স্থানীয় ব্যক্তির দেয়া তথ্যমতে জানা যায়; এই এলাকায় অবস্থিত আড়িয়া রহিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশাপাশি আরেকটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এবং আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ। তাছাড়াও এই আড়িয়া বাজার স্ট্যান্ড হতে প্রতিদিন কমর উদ্দিন ইসলামিয়া সরকারি কলেজসহ আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলাচল করে শতশত শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবী মানুষ। এতদসত্ত্বেও মহাসড়কের এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দ্রুতগামী যান চলাচলের গতিরোধে নেই ব্যবস্থা।
শেরপুর হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ বানিউল আনামের সাথে যোগাযোগ করলে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, দুর্ঘটনায় নিহত বৃদ্ধার লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার ছেলের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক বাসটিকে শনাক্ত করতে জোড় চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলার সিএনজি গুলোকে প্রতিদিন অনলাইনের মাধ্যমে মামলা দেয়া হচ্ছে। তারা মামলার ফি পরিশোধ করে পুনরায় আবার মহাসড়কে চলাচল করেন।
Leave a Reply