১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

লাশ ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী’র হস্তক্ষেপ কামনা করলেন নিহতের পরিবার!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের বুুড়িরহাট লোহাকুচি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)এর গুলিতে ২জন বাংলাদেশী নিহতের ঘটনায় ৪দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। এ ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ওই এলাকার গ্রামবাসী ও পরিবারের স্বজনরা।

 

সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার ময়না চওড়া বাজারে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে থাকা স্থানীয়রা বিক্ষোভ করে লাশ ফেরতের দাবি জানায়। এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত ইদ্রিস আলীর ভাই একরামুল হক, গোড়ল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক রাজাসহ আরও অনেকে।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সীমান্তে যাওয়ার কারণে ভারতীয় বিএসএফ দুই বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যার পর তার লাশ ভারতে নিয়ে যায়। চার দিন হয়ে গেলেও তারা লাশ ফেরত দিচ্ছে না। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড কোনো যোগাযোগ করছে না। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির সাথে কথা বলতে গেলেও তারা সাড়া দিচ্ছে না। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধনে রাস্তায় নেমেছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করে মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, এর আগেও পাটগ্রামের চার বাংলাদেশির লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। যদি এ রকম হয়ে থাকে তাহলে পরিবারের লোকজন কোথায় যাবে। ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে তারা ধরে নিয়ে যাক কিন্তু গুলি করার অধিকার রাখে না।

 

এ ঘটনায় নিহত মোঃ ইদ্রিস আলীর ছোট ভাই একরামুল বলেন, জন্মসূত্রে আমরা বাংলাদেশি। আমাদের ভোটার আইডি কার্ড আছে। অথচ বিজিবি বলছে নিহতরা বাংলাদেশের না। তাহলে কোন দেশের নাগরিক- “মায়ানমারের” আমার ভাইকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করল। বিজিবি দেখতেছে লাশ নিয়ে যাচ্ছে, জনগণ দেখতেছে অথচ তারা অন্য কথা বলছে। একই দিনে লালমনিরহাটে গুলি করে হত্যা করলেও এখনো কেনো বিজিবি লাশ ফেরত নিচ্ছে না? আমাদের আকুল আবেদন আমার ভাইয়ের লাশটা যেন ফেরত দেয়। তার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া একটি মেয়ে, একটি ছেলে ও ৩বছরের বাচ্চা আছে। তারা তার বাবার লাশটি ফেরত চায়।

 

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোরে বুড়িরহাট-লোহাকুচি সীমান্তের ৯১৭.৫ এস ভারতের ওপারে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত হয়। এ ঘটনার আজ ৪দিন পার হলেও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। নিহত ইদ্রিস আলী গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচি মালগাড়া ময়না চওড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিন ও আসাদুজ্জামান ভাষানীর বাড়ি মালগাড়া এলাকার বালাটারী গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।