১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

লালমনিরহাটে স্বাধীন ওয়াইফাই এর পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী বাজারে দীপ্ত অপরাজেয় আই.এস.পি (স্বাধীন নেটওয়ার্ক) এর পরিচালক ও শাখা ব্যবস্থাপক আহসান হাবিব পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক পার্টনার গোলাম রব্বানীর সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

 

গোলাম রব্বানী এ বিষয়ে আহসান হাবিব পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

আহসান হাবিব পাটোয়ারী খেদাবাগ এলাকার জিয়াউল হকের ছেলে।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আহসান হাবিব পাটোয়ারী বড়বাড়ী বাজারে গত বছরে ১৩ অক্টোবর গোলাম রব্বানীসহ আরও ২জনকে সাথে নিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে ৪জন মিলে ১০লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে দীপ্ত অপরাজেয় আই.এস.পি (স্বাধীন নেটওয়ার্ক) এর ব্যবসা শুরু করে। সেই সময়ে গোলাম রব্বানী শেয়ারে ব্যবসা করার জন্য আহসান হাবিবকে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা দেন। শুরুটা ভাল হলেও একই বছরের ৪ মার্চ স্বাধীন নেটওয়ার্কের পরিচালক আহসান হাবিব পাটোয়ারী সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুকে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করান। এতেই বাধে বিপত্তি কারন গোলাম রব্বানী আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। সেই থেকে আহসান হাবিব পাটোয়ারীর সাথে মনমালিন্য চলে আসছে।

 

সেই সুযোগে চতুর আহসান হাবিব পাটোয়ারী গোলাম রব্বানীকে উক্ত ব্যবসার কোন হিসাব না দিয়ে বিভিন্ন যায়গায় বলে বেড়াচ্ছে গোলাম রব্বানীকে সমস্ত টাকা পয়সা দিয়ে দিয়েছি। তার আর কোন পাওনা নেই। তাই বাধ্য হয়েই গোলাম রব্বানী আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।

 

এ অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্তে বড়বাড়ী স্বাধীন নেটওয়ার্কের অফিসে গেলে দেখা মেলে পরিচালক আহসান হাবিব পাটোয়ারীর।

 

অভিযোগ গোপন রেখে সাংবাদিকরা তার ব্যবসার খবর জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাধীন নেটওয়ার্ক আর ছোট নেই। ৪জন মিলে ১০লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। কে কত টাকা দিয়ে পার্টনার হয়ে ছিলেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবাই সমান ২লক্ষ ৫০হাজার করে। তিনি আরও বলেন, গত মাসে ১৩হাজার গ্রাহকের ৯৯টাকা প্যাকেজেই লাভ হয়েছে প্রায় ৪লক্ষ টাকা।

 

পরে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান এবং বলেন, আপনারা ৩জনের কথা লিখবেন। বাকী একজন গোলাম রব্বানীর কথা বলার দরকার নাই। তাকে আমরা বাদ দিয়েছি। কেন বাদ দিলেন? তার কোন সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি আহসান হাবিব পাটোয়ারী।

 

এ বিষয়ে গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, আমি আহসান হাবিব পাটোয়ারীকে ভালো মানুষ মনে করে খুব কষ্টে টাকা গুলো দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার সাথে সে প্রতারণা করল। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আপনাদের সহযোগীতা চাই। যাতে সে আমার টাকা গুলো মেরে না দিতে পারে।

 

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।