১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

লালমনিরহাটে রাস্তা সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগে কুমারপাড়ার মানুষের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

লালমনিরহাটে রাস্তা সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগে কুমারপাড়ার মানুষের

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে রয়েছে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কিসামত চোংগাদ্বারা কালীমন্দির পাকা রাস্তা থেকে ওকড়াবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৩কিলোমিটার রাস্তাটি সংস্কার না করায় বছরের পর বছর দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে কুমার পাড়ার মানুষেরাসহ ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৩কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটি এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে চলতি বর্ষা মৌসুমে। বিশেষ করে বয়স্ক নারী ও পুরুষসহ শিশুদের রাস্তাটি দিয়ে যাতায়ত খুব কষ্ট কর হয়ে পরেছে।

জানা যায়, এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫/৭হাজার মানুষ চলাচল করে। বালু ও ইট ভর্তি ট্রাক, লড়িসহ ভারী যানবাহন চলাচল করায় বেহাল দশা এখন রাস্তাটির।

এলাকাবাসী আব্দুস সালাম ও শহীদুল ইসলাম জানান, আমরা এলাকাবাসী বছরের পর বছর অনেক কষ্ট করেই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। বাড়ীতে কেউ অসুস্থ্য হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে রোগী আরও বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে অনেক ঝুঁকি নিয়ে বর্তমান এমপি সাহেব নিজেই একবার এলাকায় এসে দ্রুত রাস্তাটি পাকা করার কথা বললেও এখনও কোন কাজ শুরু হয়নি।

রাস্তাদিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী খুচরা ব্যবসায়ী কৃষ্ণ কুমার পাল জানান, সারা বছর কষ্ট করে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বর্ষাকাল আসলে অনেক সময় কাদা পানিতে পরে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। অন্য উপায় না থাকায় এ পথেই চলাচল করতে হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজগার আলী জানান,স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানসহ কারো কাছে রাস্তাটি পাকা করে দেয়ার জন্য বলতে বাকী রাখিনি। পরিষদের এলজিএসপি ফান্ড থেকেও রাস্তাটি সংস্কার করার চেষ্টা করেও ব্যথ হয়েছি। তিনি সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে এলাকার মানুষের দুর্দশা লাঘবে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের অনুরোধ জানান।

হারাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, জনদুর্ভোগ কমাতে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।