৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

লালমনিরহাটে নিজ ঘর থেকে রহস্য জনক এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১০নং বড়বাড়ি ইউনিয়নে নিজ বাড়ী থেকে ব্যাস দেব রায় নামে এক ব্যক্তির পায়ে ও গলায় দঁড়ি বাধা অবস্থায় গলিত লাশ উদ্ধার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। তবে লাশটি পোকা ধরার কারণে চেহারা বিকৃত হওয়ায় চেনার কোন উপায় নেই।

নিহত ব্যাস দেব রায় (৩১) ১০নং বড়বাড়ী ইউনিয়নে ছাট হরনারায়ণ (আমতলা) এলাকার মৃত প্রসন্ন কুমার রায়ের ওরফে বাউরা ধনীর ছেলে।

সোমবার (২ আগস্ট) রাত ৮টায় লাশ উদ্ধার করার পর রাত ১০টায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ইন্সেপেক্টর) শহিদুল ইসলাম।

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামান ও লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ, নিহতের মা ও এলাকাবাসী জানায়, নিহত ব্যাস দেব রায় ও তার মা নয়ন তারা রাণীসহ ওই বাড়ীতে বসবাস করতেন। ছেলে নেশাগ্রস্ত হওয়ায় মায়ের প্রতি অত্যাচার করত ব্যাস দেব রায়। এই অত্যাচার সইতে না পেরে নয়ন তারা রাণী গত এক বছর আগে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় বোনের বাড়ীতে চলে যান। এরপর থেকে ওই বাড়ীতে ব্যাস দেব রায় একাই বসবাস করতেন। আশপাশে তেমন বাড়ী ঘরও নেই। সোমবার (২ আগস্ট) স্থানীয় প্রতিবেশী পথচারীরা গন্ধ পেয়ে ঘরে গিয়ে পোকা ধরা গলিত লাশটি বিছানার ওপর দেখতে পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ওসিকে জানায়। পরে পুলিশ রংপুর সিআইডিকে অবগত করেন।

আমতলা বাজারের নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক দোকানী সাংবাদিকদের জানান, তিন দিন আগে সে খুব সকালে আমার দোকান থেকে খরচ নিয়ে যায়, সেদিন দোকানে প্রথম কাস্টমার ছিলো ব্যাস। তার থেকে তাকে আর দেখা যায় নি।

নিহতের মা নয়ন তারা রাণী বলেন, আমি খবর পেয়ে বোনের বাড়ী উলিপুর থেকে এসে দেখি ছেলে ব্যাস দেব রায়ের গলিত লাশ ঘরে বিছানার উপর পরে ছিল। আমার এক ছেলে ৮/৯বছর আগে মারা গেছে। মেয়ে গাইবান্ধায় জামাইয়ের বাড়ীতে থাকে। এক ছেলে অনেক দিন হতে নিখোঁজ।

তিনি আরও বলেন, ব্যাস দেব রায় নেশাগ্রস্ত হওয়ায় আমাকে গালি-গালাজ করতো সব সময়ই। এজন্য গত এক বছর আগে আমি বোনের বাড়ীতে চলে গিয়েছি। সে একাই বাড়ীতে থাকতো। এখন কি থেকে কি হয়েছে, আমি এর সঠিক বিচার চাই।

লালমনিরহাট সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ইন্সেপেক্টর) শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাস দেব রায়ের চেহারা বিকৃত হওয়া ও লাশ পচে যাওয়ার কারণে সিআইডি কোন কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। দেবের পায়ে ও গলায় দঁড়ি বাধা অবস্থায় নিজ শয়ন ঘরের বিছানার উপর ছিল। আমরা সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে গলিত লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।