১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

লালমনিরহাটে নিজ এলাকা থেকে প্রার্থীর ভোট উধাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ২জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে দেখেন নিজ ওয়ার্ড থেকে প্রার্থীসহ একাধিক ব্যক্তির ভোট উধাও। অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ।

 

জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বিছনদই গ্রামের মৃত. আনা উল্লাহ’র ছেলে আশরাফ আলী যার ভোটার ক্রমিক নং ৬৮ ও একই ওয়ার্ডের ছোলেমান গনির ছেলে আলতাব হোসেন যার ভোটার ক্রমিক নং ১০৭ জন্ম সূত্রে ৬নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার। ২৩ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনে উক্ত ওয়ার্ডের সম্ভাব্য সদস্য প্রার্থী হিসেবে দু’জনেই গণসংযোগ করে আসছেন। নির্বাচনের মনোনয়ন কিনতে গিয়ে দেখেন সদ্য প্রকাশিত ভোটার তালিকায় নিজ ওয়ার্ডে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীসহ একাধিক ব্যক্তির ভোট নেই। পরবর্তীতে ভোটার তথ্য যাচাই করে দেখেন আশরাফ আলীর ভোট ৬নং ওয়ার্ড থেকে পার্শ্ববর্তি ৪নং ওয়ার্ডে এবং আলতাব হোসেন’র ভোট ২নং ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। সে কারনে দুই সম্ভাব্য প্রার্থী আর নির্বাচন করতে পারছেন না।

 

এ বিষয়ে আশরাফ আলী স্ংবাদিকদের বলনে, এবারের নির্বাচনে আমি ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের প্রত্যায়ন পত্র ছারা ভোট স্থানান্তর করা যায় না। প্রতিহিংসার কারনে ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান স্বপন ও চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ আমার অজান্তে ভোট স্থানান্তর করে যাতে আমি নির্বাচন করতে না পারি। আমার অজান্তে কি ভাবে ভোট স্থানান্তর করেছে তাই ন্যায় বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

 

অপরদিকে আলতাব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বাব-দাদা এবং নিজের বসতবাড়ী ৬নং ওয়ার্ডে। যখন প্রথম ভোটার হয়েছি তখন থেকে এই ওয়ার্ডে ভোট দিয়ে আসছি। এবারে আমি ভোট করব গ্রামবাসী সবাই জানে। ভোটে আমার জয় নিশ্চিত জেনে কে বা কারা সড়যন্ত্র করে আমার ভোট ৬নং ওয়ার্ড থেকে ২নং ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেছে যাতে আমি প্রার্থী হতে না পারি। নিরুপায় হয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবীতে বৃহস্পতিবার অভিযোগ দিয়েছি।

 

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, তাদের ভোট কে স্থানান্তর করেছে আমি জানিনা।

 

ডাউয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ সাংবাদিকদের বলেন, আমার জানামতে তাদের বসতবাড়ী ও ভোট ৬নং ওয়ার্ডে। হয়তোবা কেউ আমার স্বাক্ষর জাল করে প্রত্যায়ন দিয়ে আশরাফ ও আলতাব সহ একাধীক ব্যক্তির ভোট নিজ ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেছে।

 

পৃথক পৃথক দু’টি অভিযোগ পেয়েছেন বলে সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল আমিন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।