৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

লালমনিরহাটে দেনমোহর আদায়ে মরিয়ম আক্তার লাকীর অভিনব প্রতারণা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

 

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় তালাক প্রাপ্ত স্বামীর কাছ থেকে দেনমোহরের টাকা আদায়ে মরিয়ম আক্তার লাকীর বিরুদ্ধে অভিনব প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে।

 

জানা যায়, গত ২৭ মে ২০০৮ সালে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান সরকারের ছেলের সাথে পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মাসুম আলীর কন্যা মরিয়ম আক্তার লাকীর সাথে ১লাখ ৫৫হাজার ৫শত ৫৫টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে ৫০হাজার টাকা নগদ বুঝায়ে দিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রি করেন শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কাজী আব্দুল বারেক। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী মরিয়ম আক্তার লাকী উশৃংখল জীবন যাপন করায় তাদের সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। সংসারের তিন সন্তানের কথা চিন্তা করে স্বামী রাশেদ মেনন বিদ্যুৎ নিরবে সব সহ্য করেন। এবং স্ত্রী মরিয়ম আক্তার লাকীকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী নিয়ে দেন।

 

গত ২৫ জুলাই মরিয়ম আক্তার লাকী ও পরকিয়া প্রেমিক বড়খাতা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদুল হোসেন দুলু স্বামীর বাড়ীতে অনৈতিক কাজের উদ্দেশ্যে গেলে রাশেদ মেনন বিদ্যুৎ এর ছোট ভাই দেখে ফেলে। পরকিয়া প্রেমিক জাহিদুল হোসেন দুলু পালিয়ে যায়। পরে ২৭ জুলাই স্ত্রী মরিয়ম আক্তার লাকীকে তার বড় ভাই সোহেল রানার কাছে দুইজন মেম্বার এর মাধ্যমে সুস্থ শরীরের বুঝায়ে দেন। সেই থেকে মরিয়ম আক্তার লাকী তার বাবার বাড়ীতে অবস্থান করে চাকুরী করে আসছেন।

 

এ বিষয়ে সংসার বাঁচানোর জন্য রাশেদ মেনন বিদ্যুত ২৬ জুলাই বউয়ের পরকিয়া প্রেমিক জাহিদুল হোসেন দুলুকে আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে থানাতে ডেকে সংসার করতে বলে কিন্তু বউ মরিয়ম আক্তার সংসার করবে না মর্মে দেনমোহরের ৫লক্ষ ৫৫হাজার ৫শত ৫৫টাকা চায়। কিন্তু রাশেদ মেনন বিদ্যুত বলে বিবাহের দেনমোহরতো ১লক্ষ ৫৫হাজার ৫ শত ৫৫টাকা তাহলে ৫লক্ষ টাকা কেন দিবো।সমস্য সমাধান না হওয়ায় উভয় পক্ষই থানা ত্যাগ করে।

 

২ সেপ্টেম্বর রাশেদ মেনন বিদ্যুত নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে তালাক দেন। তালাকের নোটিশ পাবার পর ৪ অক্টোবর মরিয়ম আক্তার লাকী লালমনিরহাট কোর্টে রাশেদ মেমন বিদ্যুত এর বিরুদ্ধে ৫লক্ষ টাকার যৌতুকের মামলা করেন।

 

মরিয়ম আক্তার লাকী অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০১৪ সাল থেকে ৫লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছেন স্বামী রাশেদ মেনন বিদ্যুত। বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য রাশেদ মেনন বিদ্যুত তার উপর অত্যাচার করেন। ২৫ জুলাই আবারো মরিয়ম আক্তারকে বাবার বাড়ী থেকে ৫লক্ষ টাকা এনে দেবার জন্য চাপ দেন। কিন্তু মরিয়ম আক্তার রাজি না হলে রাশেদ মেনন বিদ্যুত তার বড় ভাই সোহেল রানাকে ডেকে দুইজন মেম্বার এর উপস্থিতিতে মরিয়ম আক্তারকে বুঝায়ে দিয়ে বলেন টাকা দিয়ে বোনকে পাঠাবেন। কিন্তু ২৯ জুলাই ১টা ১৫মিনিটে দুই জনকে সাথে নিয়ে দোলাপাড়া এলাকায় রাশেদ মেনন বিদ্যুতের বাড়ীতে আসেন।রাশেদ মেনন কোন কথা না শুনে মরিয়ম আক্তারকে মেরে তাড়িয়ে দেন।

অসুস্থ মরিয়ম আক্তার পাটগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রাশেদ মেননের নামে যৌতুক মামলা করেন।

 

আরও জানা যায়, ২০১৪ সাল নয় ২০০৮ সালে ১লক্ষ ৫৫হাজার ৫শত ৫৫টাকা দেন মোহর ধার্য্য করে নগন ৫০হাজার টাকা দেন মোহরে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আব্দুল বারেক তাদের বিবাহ রেজিস্ট্রি করেন।পরে ২০১৪ সালে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আব্দুল বারেক অনৈতিক সুভিধা নিয়ে দেনমোহর বাড়িয়ে ৫লক্ষ ৫৫হাজার ৫শত ৫৫টাকা করে নতুন করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন।

 

এমনকি মামলায় দেখানো ২৯ জুলাইয়ে মরিয়ম আক্তার লাকী তার কর্মস্থান বুড়াবাউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিলেন।

 

এ বিষয়ে বুড়াবাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামছুন্নাহার সাংবাদিকদের বলেন,মরিয়ম আক্তার লাকী আমার স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা। তিনি ২৯ জুলাই ১২টা ৪৫মিনিট পর্যন্ত স্কুল করেছেন। তিনি সাক্ষীদের নিয়ে স্বামীর বাড়ীতে কখন গেল আর হাসপাতালে ভর্তি কখন হলো আমিতো কিছু জানি না।

 

রাশেদ মেনন বিদ্যুত ও মরিয়ম আক্তার লাকীর বড় মেয়ে আবৃতি সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আমার মাকে আব্বু মারে নি।আম্মু মিথ্যা কথা বলছে।

 

রাশেদ মেনন বিদ্যুত সাংবাদিকদের বলেন, ভাই এই মেয়েকে বিয়ে করে আমার জীবন শেষ।আমি তাকে তালাক দিয়েছি। কিন্তু কাজীর দেনমোহর প্রতারণার কারনে দেনমোহর দিতে পারছি না।

 

মরিয়ম আক্তার লাকীর কাছে মামলা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সংসার বাচাতে আমি মামলা করেছি। আপনি মামলায় বলেছেন আপনার বিয়ে হয়েছে ২০১৪ সালে আবার আপনার প্রথম সন্তান আবৃতির বয়স ১০বছর অথচ এটা ২০২১ সাল সে হিসেবে আপনার প্রথম সন্তানের বয়স ৮বছর নয় কি এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেননি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।