৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

লালমনিরহাটে টয়লেটে কে রাখলো এসব ব্যালট? সকলের প্রশ্ন? 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জে বিএনপি নেতার হাতে নৌকায় সিল দেয়া ভুয়া ব্যালটগুলো নিয়ে উভয় পক্ষের রশি টানাটানি বিএনপি নেতার হাতে নৌকায় সিল দেয়া ভুয়া ব্যালটগুলো। সকলের প্রশ্ন এখন- টয়লেটে কে রাখলো এসব ব্যালট?

 

সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ব্যালটগুলো প্রদর্শন করেন কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক চন্দ্রপুর ইউনিয়নের মোটর সাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।

 

অপর দিকে ওই চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাহাবুবর রহমানের দাবি প্রতিপক্ষ নৌকার ভোট কমাতে গননার সময় ব্যালটগুলো চুরি করে বাহিরে ফেল দিয়েছে। এর আগে রোববার (২৮ নভেম্বর) ইউপি নির্বাচনে চন্দ্রপুর ইউনিয়নে দুই প্রার্থী ৯হাজার ৮৪০ভোট পেয়ে সমান অবস্থানে রয়েছেন। যার ফলে এ ইউনিয়নের নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চন্দ্রপুর ইউপি নির্বাচনে মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নৌকার কর্মী সমর্থকরা নৌকায় সিল মারা কিছু ব্যালট ওই ইউনিয়নের গোসাইরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের টয়লেটে ফেলে রাখে। সোমবার সকালে স্থানীয়রা ২০টি ভুয়া ব্যালট উদ্ধার করলে আমার কাছে আসে। এসব নৌকার কর্মীরা ভোট বাক্সে রাখার সময় না পেয়ে ফেলে রেখেছে। এ ভাবে ভুয়া ব্যালট দিয়ে নৌকার ভোট বাড়িয়ে সমান অবস্থানের ফলাফল তৈরী করে ফলাফল স্থগিত করা হয়। তাই আমি এ ইউনিয়নে পুনঃভোট দাবি করছি। এ সময় উদ্ধার হওয়া ২০টি ব্যালট হাতে নিয়ে উচু করে ক্যামেরায় প্রদর্শন করেন বিএনপি’র এ নেতা।

 

চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাহাবুবর রহমান বলেন, স্থানীয় সমর্থকদের মাধ্যমে নৌকায় সিল মারা ব্যালটের বিষয়ে শুনেছি। এসব ব্যালট তাদের কাছে কেন? এটা তো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার করার কথা। তারা নৌকার ভোট কমাতে এসব ব্যালট চুরি করেছে। তাদের কাছে থাকা ব্যালটগুলো উদ্ধার করে গননায় সম্পৃক্ত করতে প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে অনুরোধ করেছি। আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো। সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শন করা নৌকায় সিল দেয়া ব্যালটগুলো উদ্ধার করে ভোট গননায় সম্পৃক্ত করে আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হোক। একই সাথে নৌকার সিল দেয়া এসব ব্যালট তারা প্রশাসনকে না জানিয়ে নিজেদের জিম্মায় কেন রেখেছেন? তার ন্যায় বিচার দাবি করেন নৌকার প্রার্থী মাহাবুবর রহমান।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।