৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

লালমনিরহাটের বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

লালমনিরহাটের বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) প্রবীণ রাজনীতিবিদ, ভাষা সংগ্রামী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি লালমনিরহাট জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট পৌরসভার খোর্দ্দ সাপটানা (বিডিআর হাট)স্থ নিজ বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তাঁর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, নাতী, নাতনী, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীগণ উপস্থিত ছিলেন।

কমরেড শামসুল হক লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের খাতাপাড়া গ্রামে ১৯৩৪ সালের ৭ মে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম মহিউদ্দিন সরকার ও মাতার নাম মরহুমা সহিজন নেছা। তিন সন্তানের মধ্যে কমরেড শামসুল হক দ্বিতীয়। তিনি খাতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে লেখাপড়া করেন। অতঃপর ইনেস্পেক্টর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ লালমনিরহাট জেলা শাখার আজীবন সদস্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি লালমনিরহাট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি, সুইড বাংলাদেশ লালমনিরহাট শাখার সভাপতি, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, বার্ণহার্ডট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সভাপতি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র অনুপ্রেরনায় গঠিত স্বজন সদস্য, লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যসহ লালমনিরহাটের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে আমৃত্য জড়িত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তাঁর সরব উপস্থিতি সবাইকে প্রাণবন্ত করতো। তাঁর কর্মময় জীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ ভাষা আন্দোলন, রাজনীতি ও সমাজকর্মে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ লালমনিরহাট জেলা শাখা প্রৌঢ় সম্মাননা স্মারক-২০১১, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট লালমনিরহাট ভাষা সৈনিক সম্মাননা-২০১৫সহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনিতে পড়ার সময় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। লালমনিরহাটে গঠিত ভাষা সংগ্রাম পরিষদের তিনি অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। ১৯৮১ সালে মহুকুমা ও ১৯৮৪ সালে জেলা গঠনে তাঁর ভূমিকা ছিল অন্যতম। অধুনালুপ্ত স্টেশন ক্লাবের তিনি ক্যাশিয়ার ছিলেন। এছাড়াও লালমনিরহাট সরকারি কলেজ, কবি শেখ ফজলল করিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গঠনে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয় ছিল।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।