২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।বুধবার

রেলওয়ের আইবাস সিস্টেম জটিলতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে ট্রেনের চালক-সহকারীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

রেলওয়ের আইবাস সিস্টেম জটিলতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে ট্রেনচালক, সহকারি চালক, ট্রেন পরিচালক ও টিটিই। সংকট নিরসনের দাবীতে তারা লালমনিরহাট রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির ব্যানারে রোববার (৩১ অক্টোবর) সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ে সামনে সমাবেশ করে তারা। সমাবেশে নতুন মাইলেজ কোড বাতিল করে পার্ট অফ পে হিসেবে পূর্বের ন্যায় বেতন কোড হতে মাইলেজ প্রদানের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানানো হয়। অনথ্যায় রেল চলাচল বন্ধ সহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দেন তারা। সমাবেশ শেষে বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী রাসেল আলমের মাধ্যমে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

 

এ ব্যাপারে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির লালমনিরহাট বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, রেল সৃষ্টির পর থেকে ট্রেন চালকরা মাসে যত ঘণ্টা ট্রেন চালান মাস শেষে বেতন এর পাশাপাশি ততো ঘন্টার মাইলেজ ভাতা পেয়ে আসছেন। কিন্তু রেলওয়েতে ডিজিটাল সিস্টেম আইবাস প্লাস পদ্ধতিতে বেতন ভাতা পরিশোধের নতুন নিয়ম চালু করার পায়তারা চলছে। এই ব্যবস্থা চালু হলে ট্রেনের লোকো মাস্টার (ট্রেনচালক) সহকারি লোকোমাস্টার (সহকারি ট্রেনচালক) গার্ড (ট্রেন পরিচালক) টিটিইরা মাসে ছয় থেকে আট হাজার মাইল ট্রেন চালালেও তিন হাজারের বেশি মাইলেজ পাবেন না। সারাদেশে আমাদের এগার শত লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকো মাস্টার, ছয় শত ট্রেন পরিচালক ও প্রায় আট শত টিটিই আছেন যারা ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে আসছেন। এই তিন স্তরের কর্মচারীরা আমরা যারা রেলওয়ে রানিং স্টাফ তারা রেল সৃষ্টির শুরু থেকে রেলওয়ে কোডের বিধান মতে আট ঘণ্টা কাজের জন্য বা প্রতি একশত মাইল ট্রেন চালালে একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অতিরিক্ত মাইলেজ ভাতা পেয়ে থাকি। ট্রেন চালানোর সময় খাওয়া-দাওয়া বাবদ ব্যয় করতে হয় এই হিসাবে ছয় থেকে আট হাজার মাইল ট্রেন চালালে সাইট থেকে আশি দিন এর মাইলেজ ভাতা হিসেবে মাসিক বেতনের সাথে নিয়মিত পেয়ে আসছেন। সেই পুরোনো নিয়মকে বদলানোর পায়তারা করা হচ্ছে। এটা সফল হতে আমরা দেবো না, প্রয়োজনে সবাই মিলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেবো।

 

উল্লেখ্য যে, আইবাস প্লাস প্লাস সিস্টেম জটিলতা নিরসনে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারীরা।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।