কাউছার চৌধুরী লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :-
৬ ছাত্রের চুল কেটে দেয়া আলোচিত সেই মাদরাসা শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির মঞ্জু জামিনে বেরিয়ে এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন।
মঞ্জুরুল কবির মঞ্জু তিনি উপজেলার হামছাদী কাজিরদিঘীরপাড় আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ও বামনী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে মঞ্জুর পক্ষে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও মো. ইছুফ পাটওয়ারীসহ স্থানীয় ৮-১০ জন নেতাকর্মী উপজেলা পরিষদে গিয়ে রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
এরআগে সোমবার (২৫ অক্টোবর) জামিনে বেরিয়ে তাৎক্ষনিক এক বক্তব্যে ইউপি নির্বাচনের প্রস্ততি নেয়ার জন্য শুভাকাঙ্খীদের আহবান জানিয়েছেন মঞ্জুরুল কবির মঞ্জু। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বামনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে এম মোস্তাক আহমেদ বলেন, কয়েক ব্যক্তি এসে মঞ্জুরুল কবির নামের এক প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। এছাড়া বুধবার পর্যন্ত আমাদের কাছ থেকে ৬ জন প্রার্থী ফরম সংগ্রহ করেছেন। তৃতীয় ধাপের এ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম জমা শেষ দিন ২ নভেম্বর। আর ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর।
ছাত্রদের চুল কাটার ঘটনার পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন, নৈতিকতা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য কয়েক ছাত্রের চুল কাটা হয়েছে। এর আগে ছাত্রদেরকে চুল কেটে প্রতিষ্ঠানে আসতে বলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, রায়পুর উপজেলার হামছাদী কাজিরদিঘীরপাড় আলিম মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ১৮ সেপ্টেম্বর শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেয়। একপর্যায়ে শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির দাখিল দশম শ্রেণির ৬ ছাত্রকে দাঁড় করিয়ে শ্রেণিকক্ষের সামনের বারান্দায় আসতে বলেন।
এসময় তিনি ছাত্রদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ৬ ছাত্রের সবার মাথার টুপি সরিয়ে সামনের অংশের চুল এলোমেলোভাবে কেটে দেন।
এ ঘটনার ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ৮ অক্টোবর সকাল থেকেই ফেসবুকে দেখা যায়। ওই রাতেই শিক্ষক মঞ্জুকে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাজিরদিঘীরপাড় এলাকা থেকে আটক করা হয়।
মাদরাসা ছাত্র শাহাদাত হোসেনের মা শাহেদা বেগম বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৯ অক্টোবর বিকেলে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ১৪ দিন পর সোমবার আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
Leave a Reply