৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

রাজশাহীর বাঘায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জা‌হিদুল ইসলা‌ম সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় গৃহবধূর অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি।

 

 

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জা‌হিদুল ইসলা‌ম সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আক‌লিমা খাতুন (২৩) না‌মের এক গৃহবধূকে সুকৌশলে ডেকে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

গত সোমবার (৩০ শে আগস্ট ) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার বাউসা ইউপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগী গৃহবধূ বা‌দি হ‌য়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে সোমবার (৩০ আগষ্ট) সন্ধ্যায় বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

অ‌ভি‌যোগ সু‌ত্রে জানা যায়, বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের মৃত: নাসির উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান ( ৪০ ) এর স‌ঙ্গে এক বছর পু‌র্বে আক‌লিমার বিবাহ হয়। বিয়ের পরে আক‌লিমা জানতে পারে, তার স্বামী মাদকাসক্ত। তাই বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে মাদকমুক্ত করতে আকলিমা আপ্রাণ চেষ্টা করেন । এ নিয়ে স্বামীর বড়ভাই ( ভাসুর) জা‌হিদুল ইসলা‌মের স‌ঙ্গেও বি‌ভিন্ন আলাপ আ‌লোচনা ক‌রেন, কিভা‌বে স্বামী হা‌ফিজুর কে মাদকমুক্ত করা যায়। সর্বশেষ গত সোমবার (৩০ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জাহিদুল (ভাসুর) আক‌লিমা‌কে ব‌লে, তোমার স্বামী‌কে ভা‌লো কর‌তে হ‌লে ইউ‌পি কার্যাল‌য়ে এক‌টি অ‌ভি‌যোগ দি‌তে হ‌বে। সে কৌশলে আকলিমাকে বাউসা ইউপি পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে জোরপূর্বক আক‌লিমার নিকট থেকে তালাকনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এ সময় আকলিমা তার বড় ভাইকে বিষয়টি মু‌ঠো‌ফো‌নে জানানোর চেষ্টা করলে তার নিকট থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় আক‌লিমা বা‌দি হ‌য়ে ভাসুর জাহিদুল ইসলাম, প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, হাকিম আলী, ও কাজী লায়েব উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে একই দিনে বাঘা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

এ বিষয়ে আকলিমার ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, তারা জোরপূর্বক বোন‌কে দি‌য়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর ক‌রে নি‌য়ে‌ছে। ইউ‌নিয়ন প‌রিষ‌দে এ ধর‌নের মানব‌াধিকার ল‌ঙ্ঘিত কর্মকান্ড খুবই দুঃখজনক। জাহিদ ভাই একজন নেতা মানুষ। তিনি বিভিন্ন এলাকায় গ্রাম-শালিসে জান তার এমন কাজটি করা খুবি দুঃখজনক। আমরা এর সু-বিচার চাই।

 

অভিযুক্ত জাহিদ বলেন, আমি এমন কাজের সাথে সম্পৃক্ত নই। ঘটনার সময় অন্য একটা শালিসে ইউপি কার্যালয়ের বারান্দায় ছিলাম।

 

এ বিষ‌য়ে প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জাহিদ করেছে। সেই ভা‌লো বল‌তে পা‌র‌বে।

 

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।