১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

রক্তাক্ত আগষ্টে অপরাধীদের কঠোর হুঁশিয়ারি, ওসি সাজ্জাদ হোসেন সাজুর। 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি।

 

রাজশাহীর বাঘা থানায় মাত্র কয়েক দিন হলো

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন সাজুর যোগদান। এরি মধ্যে তিনি অপরাধ দমনে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং মাদক ও বিকাশ হ্যাকারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি ।

 

তারি ধারাবাহিকতায় ইমো ও বিকাশ হ্যাক ( হ্যাকের মাধ্যমে অন্যের টাকা হাতিয়ে নেওয়া) প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) থানা চত্বরে উপজেলার প্রায় ৩০৪ জন বিকাশ এজেন্ট, ডিএসও এবং বিকাশ সুপারভাইজার দের নিয়ে এক মত বিনিময়সভা করেন ওসি।

 

রক্তাক্ত আগষ্টে থানা পুলিশের আয়োজনে আয়োজিত এই মত বিনিময় সভায় মাদক ও বিকাশ হ্যাকার এবং তাদের সাথে যুক্ত কোন প্রকার অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবেনা বলে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করেন ওসি সাজ্জাদ হোসেন সাজু ।

 

মত বিনিময় সভায় ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মোবাইল বিকাশ থেকে টাকা বের করাকে হ্যাকিং নয় এক ধরনের ডাকাতি বলা হয়।

সকল বিকাশ এজেন্ট গন থানায় নির্দিষ্ট ফর্মে রেজিষ্ট্রেশন করবেন এবং সকলের বিকাশ ব্যবহৃত সীম কার্ডের নাম্বারগুলি, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা লিখে দিবেন। একজন বিকাশ এজেন্ট তার ব্যবসার প্রয়োজনে জন্য মোট ৫ টি সীম ব্যবহার করতে পারবেন এবং নাম্বারগুলি থানায় লিখিতভাবে জানিয়ে রাখবেন। সাথে মোবাইলের আইএমই নাম্বার, একই সীম নাম্বারে কি কি একাউন্ট খুলে ব্যবসা করছেন। একজন বিকাশ এজেন্সি ৩ হাজার টাকা উত্তোলন বা লেনদেনের জন্যেও গ্রাহক এর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি নিবেন ও ছবি দেখে চেহারা মিলিয়ে নিবেন।বড় অংকের টাকা হলে অবশ্যই সতর্কীত ভাবে তার পরিবারসহ চিহ্নিত করে রাখবেন, প্রয়োজনে মোবাইল ফোন নাম্বারে কল দিয়ে জানবেন।বিদেশ হতে টাকা উঠাতে হলে সঠিক ভাবে যাচাই করে নিজেদের পর্যাপ্ত প্রমান রেখে লেনদেন করতে হবে। আপনাদের বিকাশ গ্রাহকের লেনদেনে অসংগতি বুঝলে অবশ্যই বাঘা থানায় কল দিয়ে জানাবেন। আপনাদের বিকাশ ব্যবসায়ে কারণে বড় কোন জটিলতায় পড়েন এটা পুলিশ প্রশাসন চাই না।

 

উল্লেখ্য, ইমো ও বিকাশ হ্যাকার প্রতিরোধ করতে বিকাশ দোকানদের সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে এই সকল অপরাধীদের প্রশ্রয় সহায়তাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করাও জরুরী বলে ধারোনা সচেতন নাগরিকদের।

কিছু দিনের ব্যবধানে ইমো ও বিকাশ হ্যাকিং চক্রের প্রায় ৪৫-৫০ জনকে পুলিশ ও র‍্যাব বাহিনী আটক করেছে।

 

এবিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন সাজু গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, মাদক ও বিকাশের টাকা ডাকাতির কোন ছাড় দেওয়া হবেনা । বাঘা উপজেলার মানুষদের সুন্দর রাখাই আমাদের (পুলিশ) দায়িত্ব। কিছু অসাধু নোংরা মানুষের জন্য সমাজ, গ্রাম, ইউনিয়ন,উপজেলাকে আমরা নস্ট হতে দিব না।অপরাধ দমনে বাঘা থানা পুলিশ সজাগ আছি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।