১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

রংপুর মেডিকেলে চালু হয়নি ৫০ শয্যার করোনা ওয়ার্ড, পরিচালকে স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় পূর্বঘোষিত ৫০ শয্যার নতুন আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু ও আইসিইউ সুবিধা নিশ্চিত করাসহ ৪ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ‘জনতার রংপুর’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে সংগঠনটির পক্ষ থেকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিমকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময় জনতার রংপুর এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মামুনুর রহমান, সংগঠক গৌতম রায়, মাজিদুল ইসলাম লিটন, আব্দুল কুদ্দুস, রফিক সরকারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। স্বারকলিপিতে বলা হয়, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালে আইসিইউ ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাসহ অন্যান্য চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ, বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করা, চিকিৎসক ও নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে জনতার রংপুর চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানোসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে দাবি জানিয়ে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল ও রমেক হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ব্যবস্থাপনার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু রোগীর সেবার মান বাড়ানো, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্যান্য ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি। সংগঠনটির আহ্বায়ক ডা. সৈয়দ মামুনুর রহমান জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সক্ষমতা থাকলেও তা কাজে লাগানো হচ্ছে না। এতে করোনা আক্রান্ত রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পশ্চিমে নতুন একটি ভবনে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আরেকটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর ঘোষণা দেয়া হলেও তা বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করা হচ্ছে।
৭ জুলাই করোনা রোগীদের চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোসহ সংকট মোকাবিলায় অনুষ্ঠিত সভায় নতুন করে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আরেকটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর সিদ্ধান্ত নেন করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটি। ঘোষণা অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ওয়ার্ডটি চালুর কথা ছিল। কিন্তু তিন সপ্তাহেও করোনা ওয়ার্ড  চালুর ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এদিকে রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম জানান, করোনা রোগীর চাপ বাড়াতে বিভাগের একমাত্র বিশেষায়িত করোনা আইসোলেশন হাসপাতালেও জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে রমেক হাসপাতালের নতুন ভবনের চতুর্থ তলায় একটি ৭১ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। সেখানে বর্তমানে ৫১ রোগী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া ওই ইউনিটে আগের পাঁচটির সঙ্গে আরও ৪টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা যুক্ত করা হয়েছে।
পূর্বঘোষিত আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর বিষয়ে তিনি জানান, জরুরি বিভাগের পশ্চিমে নতুন একটি ভবনে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আরেকটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী না থাকায় বিলম্ব হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলের দেড় কোটির বেশি মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বিভাগের আট জেলার সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ৪৬টি।
এর মধ্যে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ১০টি (সচল ৮টি), রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০টি এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি। প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বর্তমানে ফাঁকা শয্যা দ্রুত মিলছে না।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।