১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

রংপুরে তথ্য অধিকার দিবসে সুজন আয়োজিত সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার বড় হাতিয়ার’।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

রাষ্ট্র নাগরিকদের উপর বিভিন্ন আইন প্রয়োগ করে থাকে। কিন্তু তথ্য অধিকার আইন-ই একমাত্র আইন, যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর নাগরিকরা প্রয়োগ করতে পারে। এই আইনের যথাযথ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিতামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকারকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কারণ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন নাগরিকদের জন্য বড় হাতিয়ার ও আশির্বাদ।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর রোটারী সেন্টার মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক।

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন, রংপুর জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির। সুজনের রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, সুজনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফতাব হোসেন, সহ-সভাপতি বনমালী পাল, মহানগর কমিটির সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান, শিক্ষক ও সমাজ উন্নয়নকর্মী চায়না চৌধুরি, টিআইবির রংপুর জেলা এরিয়া ম্যানেজার আলমগীর কবির, এনজিও সীড নির্বাহী পরিচালক সারথী রানী সাহা।

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার সবার জন্য হাতিয়ার উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, তথ্য অধিকার ও আইন সম্পর্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে। প্রয়োজনে এটি পাঠদানে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করার পাশাপাশি তথ্য প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিধান, আইনের পরিপন্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ৩২ ধারাসহ বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী অন্যান্য ধারা বাতিল এবং তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা ডেস্ক তৈরি ও অনলাইন ব্যবস্থা চালু করতে যুগোপযোগ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন এনজিও পাশের কো-অর্ডিনেটর খন্দকার মুজতবা আলী হিমেল, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মাহমুদা শরিফা, তৃণমূল নারী নেটওয়ার্কের সহকারী আঞ্চলিক কর্মকর্তা মানিক মোক্তার, গণমাধ্যমকর্মী ফরহাদুজ্জামান ফারুক প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রাজেশ দে।

সভায় রংপুরের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।