২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

রংপুরের হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা এলাকায় পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু; ময়নাতদন্তে আঘাতের চিহ্ন নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

 

রিয়াজুল হক সাগর রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

রংপুরের হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা এলাকায় পুলিশের হাতে তাজুল ইসলাম (৫৫) নামে একজন আটকের পর নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। শনিবার পুলিশের কাছে মৃত তাজুলের ময়না তদন্তের রিপোর্ট দিয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে তাজুলের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে হৃদপিণ্ড ও ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে আরও কিছু সময় লাগবে। বিষয়টি জানিয়েছেন রমেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম ও মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি এন্ড মিডিয়া) সাজ্জাদ হোসেন।

ডাক্তার রাজিবুল জানান, ময়নাতদন্তে তাজুলের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে কিনা এটা জানার জন্য নিহতের হৃদপিণ্ড রমেক হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে পাঠানো হবে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে হৃদরোগে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এছাড়া তাজুলের ভিসেরা রাজশাহী’র ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেতে কিছুটা সময় লাগবে। ভিসেরার রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ আরও পরিস্কার হবে।

পুলিশের উপ-কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রিপোর্টে তাজুলের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

তাজুলের মৃত্যুর বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে এক আইনজীবী বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন। হাইকোর্ট ময়নাতদন্তের রিপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেন পুলিশকে। এর পরপরই তাজুলের মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মেহেদুল করিমকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৭ কর্মদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। হারাগাছের ঘটনার বিষয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ইউডি মামলার নথি হাইকোর্ট চাওয়ায় এগুলো হাইকোর্টে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গত পহেলা নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা এলাকার দরদী স্কুলের সামনে থেকে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরেই তাজুল মারা যান। তাজুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং থানার দরজা জানালা ভাঙচুর করে। পরে রংপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় নিহত তাজুলের ছোট ভাই মর্তুজার রহমান আবু একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া নিহত তাজুলের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার ও থানা ঘেরাও করে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।