১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।বুধবার

রংপুরের হারাগাছে বিড়ি শ্রমিকদের সাথে মালিক পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৭।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

 

রংপুরের হারাগাছে বিড়ি শ্রমিকদের সাথে মালিক পক্ষের লোকজনের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে হারাগাছে একটি বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে এই ঘটনা ঘটে। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে হারাগাছের বিড়ি শ্রমিকরা অন্দোলন ও ধর্মঘট । তবে মালিক পক্ষ বলছে মালিকদের সাথে কোন কিছু হয়নি। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গেলে এক শ্রেণির সুবিধাভোগী শ্রমিক নেতা তাদের কাজে বাধা দিলে এই ঘটনা ঘটে।

শ্রমিকরা জানায়, প্রতি হাজার বিড়ি ও প্যাকিং মজুরি ৮০ টাকা হারে বৃদ্ধির দাবিতে হারাগাছ যৌথ বিড়ি শ্রমিক ইনিয়নের ডাকে গত ২৪ নভেম্বর থেকে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন শুরু করেন। শ্রমিকরা কয়েকদিন থেকে হারাগাছের মায়া বাজার, হরিণটারী, দালালহাট, নতুন বাজার, পাইকার বাজার, ডারারপাড় বিভিন্ন এলাকায় মিছিল মিটিংও সমাবেশ করেন।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, বিড়ি ও প্যাকিং শ্রমিকরা প্রতি হাজার বিড়ি ও প্যাকিং মজুরী ৪২ টাকা ৫০ পয়সা হারে পাচ্ছে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে এই টাকায় শ্রমিকদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন ধারন করা কষ্টসাদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাই আমরা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির জন্য দুই সপ্তাহ আগে বিড়ি শিল্প মালিকদের মজুরী বৃদ্ধি করণে চিঠি দিয়েছি। হারাগাছের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করেছি। বিভিন্ন বিড়ি ফ্যাক্টরীতে লিফলেট বিতরণ করেছি। মালিকদের সারা না পেয়ে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রমিকদের সাথে মালিক পক্ষের লোকজনের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ও ইটপাটকেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলে আবুল ও মঞ্জুমসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন।

এ ব্যাপারে রংপুর জেলা বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ডিনার বলেন, মালিক পক্ষের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষের কোন ঘটনা ঘটেনি। শ্রমিকরা ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে এসেছিল। এসময় বেশ কয়েকজন নামধারি নেতা শ্রমিকদের কাজে বাঁধা দেয়। এসময় একটু উত্তেজনা দেখা দেয়। তিনি বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্র করে হারাগাছের বিড়ি শিল্পকে ধ্বংশের পায়তার করছে। বিড়ি মালিকরা ওই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নির্যাতিত হচ্চেন।

হারাগাছ থানার ওসি শওকত চৌধুরী জানান, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা বেশ কয়েকদিন থেকে আন্দোল করছিল। বৃহস্পতিবার এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিলে তা আবার শান্ত হতে দেখা যায়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।