লুৎফুর রহমান রাকিব চৌধুরীঃ চৌদ্দগ্রাম।
-নিম্ন মধ্যবিত্ত ও একেবারে হতদরিদ্রদের দুর্দশাই অবর্ণনীয়।হয়তো বাপ বা ভাই দিনমজুর শ্রমিকের কাজ করে,হয়তো বা রিক্সাচালক।মেয়েটি বা বোনটি যতই দিন দিন বড় হতে থাকে পরিবারের কর্তার দুশ্চিন্তা ও বৃদ্ধি পেতে থাকে।প্রতিদিন যা আয় হয়,সেই টাকায় ভালো খাবারের আশাটাই দুরাশা।কমপক্ষে মেয়েটি বা বোনটির বিয়ের জন্যে ২০ টাকা আলাদা জমা করতেই হয়।এই ঘামে শ্রমের সঞ্চিত টাকাটা একসময় ২০/৩০ হাজার টাকা হয়।তবু কম পড়ে যায়।যৌতুকের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা হলে বাকি টাকা পরিচিত অপরিচিত মানুষের কাছেও হাত পাততে হয় ভিখারী না হয়েও।কেউ বা সুদে অথবা এনজিও থেকে কিস্তি নেন।একসময় মেয়েটিকে বা বোনটিকে বিদায় করে হাঁপছেড়ে বাঁচেন।ঠিক বাঁচার মতো বাঁচা হয়না তবু।কিছুদিন যেতে না যেতেই মেয়েটির শান্তি লোপ পেতে থাকে।আরো যৌতুক আরো চাহিদা বাড়তে থাকে শ্বশুড়ালয়ের।স্বামীর ও বাড়ে লোভ।শুরু হয় অত্যাচার।একসময় গ্রাম্য শালিস হয়।নারী প্রধানমন্ত্রীর দেশের গ্রামের নারীর পক্ষে যায়না শালিস।ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।দেশের প্রতিটি গ্রামেই এই চিত্র।শালিসে মেয়েকে যে টাকা দিয়ে বিদায় করা হয়,তার তিনভাগই পায় মাতবরেরা।এই তো জীবন।
Leave a Reply