সরদার বাদশা ,নিজস্ব প্রতিনিধি।
ডুমুরিয়ার চুকনগর যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কের
দুই পাশে, অবৈধভাবে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের স্টেট আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট অন্দিতা রায়। বলেন, যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কের রাস্তা প্রসস্থ ও উন্নীতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষে দু’মাস আগে সড়কের পাশে অবৈধ দখলদারদের তাদের স্থাপনাসমূহ সরিয়ে নিতে নোটিশ ও মাইর্কিং করা হয়। নির্ধারিত সময় শেষে আজ সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ যশোর, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ এইচ এম মাহমুদ হাসান, উপ-সহকারী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দলের উপস্থিতিতে ১টি বুলডোজার এবং বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। উচ্ছেদ অভিযানে থানা পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস,খুলনা পল্লীবিদ্যুৎ সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার জনবহুল, ট্রানজিড, ব্যস্ততম এবং বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত চুকনগর বাজারের যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়ক এর রাস্তার দু’পাশের প্রায় ২০,৩০, ফুট পরিমান জমি স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধ ভাবে দখল করে। অন্তত ৪০টি এক তলা থেকে ২তলা পর্যন্ত পাঁকা ভবন নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি গড়ে তুলেছেন । এর ফলে রাস্তা সংকুচিত হওয়ায় যান ও জনসাধারণের চলাচলে চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। চলতি বছরের জুন মাসে সড়ক এবং জনপথ বিভাগ অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্ত কোন দখলদার স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় গতকাল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার অভিযান পরিচালিত হয়।
জনস্বার্থে ও ভবিষত্যের কথা চিন্তা করে সড়কটির দুই পাশে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অবৈধ সকল স্থাপনা সরিয়ে নিতে মালিকদের নোটিশ করা হয়েছিল। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়ক জমি ভোগ দখল করে আসছে প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি। তারা অনেকে দোকান ঘর ও বসতবাড়ি তৈরী করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাড়া দিয়ে আয় রোজগার করছেন। এতে করে এক দিকে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপর দিকে সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। জনভোগান্তি নিরসন এবং সরকারি জায়গায় উদ্ধারের লক্ষে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
Leave a Reply