৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ছিল শোষনহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা-বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড.মাহবুব আলী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাই নিউজ:বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড.মাহবুব আলী বলেছেন-মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও আদর্শ ছিল শোষনহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। এ কারণে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কৃষক শ্রমিক ছাত্র জনতা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ অনন্তকাল বেঁচে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম। বৃহস্পতিবার ৪ঠা এপ্রিল ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবসে মুক্তিযোদ্ধা জনতার মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

তেলিয়াপাড়া চা বাগান স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফজলুল জাহিদ পাবেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক সেনাপ্রধান ৩নং সেক্টর কমান্ডার কেএম শফিউল্লাহ বলেন ১৯৭১ সালের ১৮ই মার্চ জয়দেবপুর থেকে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একদল সৈন্যবাহিনী নিয়ে ২৮শে মার্চ ভারত সীমান্তবর্তী তেলিয়াপাড়া চা বাগানে আসেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ৪ এপ্রিল তেলিয়াপাড়া চা বাগান বাংলোতে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সামরিক কর্মকর্তাদের বৈঠক করে যুদ্ধ শুরু করেন। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য দেশের মুক্তিকামী জনগণকে প্রশিক্ষণ অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁিপয়ে পড়েন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তেলিয়াপাড়ার ভূমিকা ঐতিহাসিক। ঐ স্থানটিকে নতুন প্রজন্মের জন্য ইতিহাস শিক্ষার জন্য সংরক্ষণ করে জাতীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন। ম্যানেজার বাংলোটিকে জাদুঘর ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখা প্রয়োজন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল অবঃ হেলাল মুর্শেদ খান বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তৈরি থাক। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। জাতির জনকের ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশ না নিলে দেশ স্বাধীন হত না। ৪ঠা এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বৈঠক হয়েছিল তেলিয়াপাড়া চা বাগান বাংলোতে। ঐ স্থানটিকে ইতিহাসের পাতায় ধরে রাখার জন্য মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধক্ষেত্র সংরক্ষণ স্থান হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। রাজনৈতিক, সামরিক ও কুটনৈতিক প্রচেষ্ঠার সম্বলিত ফল হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ওই স্থানটিকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার জন্য বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানান। জবাবে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী এই স্থানটিকে সংরক্ষনের জন্য সরাকরি ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে ঘোষণা করেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এড. মোহাম্মদ আলী পাঠানের পরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধা জনতার সমাবেশে অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী, নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারজানা কাউনাইন, ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি আমির হোসেন, নরসিংদীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আঃ মোতালেব, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শেখ আতিকুল বাবু, মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মল্লিকা দে প্রমুখ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।