১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

মা’হাদ আন-নিবরাসে কক্সবাজার জেলার সর্ববৃহৎ হিফজুল কুরআন সম্মাননা অনুষ্ঠিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদক।

৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ খ্রি. রোজ শনিবার মা’হাদ আন-নিবরাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ককসবাজার জেলার সর্ববৃহৎ হিফজুল কুরআন সম্মাননা অনুষ্ঠান।

জেলার ব্যতিক্রমধর্মী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মা’হাদ আন-নিবরাস-এর সহকারী পরিচালক মাওলানা আনসারুল্লাহ ও শিক্ষাপরিচালক মাওলানা ইবরাহিম খলিল-এর যৌথ সঞ্চালনায় এবং প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা জিয়াউল হক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে মা’হাদের সান্নিধ্যে সদ্য হিফ্‌জ সম্পন্নকারী ৩৫জন হাফেজে কুরআনকে দস্তারে ফজিলত, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।

দস্তারে ফজিলত প্রদানের পূর্বে মা’হাদের শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ পরিবেশনায় ছিল কুরআন তিলাওয়াত, ইসলামি সংগীত এবং আরবি, ইংরেজি ও বাংলা বক্তব্য উপস্থাপন। শিক্ষার্থীদের অসাধারণ পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন সবাই।

অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়া’র নায়েবে মুদির আল্লামা মুহাম্মদ ফুরকানুল্লাহ খলিল, বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হাফেজ ও ক্বারি ঢাকা যাত্রাবাড়ীস্থ তাহফিজুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ ক্বারি নাজমুল হাসান, ককসবাজার আদর্শ মহিলা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ আহমদ চৌধুরী, ককসবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হক, বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও মিডিয়াব্যক্তিত্ব মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাওলানা মুফতি হুমায়ূন কবির, মাশরাফিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদ্‌রাসার পরিচালক হাফেজ সালামতুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাওলানা শফিউল্লাহ কুতুবী, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমে টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে সদ্য অভিষিক্ত ইয়াসির আলী রাব্বির পিতা জনাব শওকত আলী চৌধুরী, ককসবাজার জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও মা’হাদ আন-নিবরাসের ছাত্রাভিভাবক জনাব নেজামুল হক, টেকনাফ রঙিখালী ফাজিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক ও মা’হাদ আন-নিবরাসের ছাত্রঅভিভাবক মাওলানা কবির সিদ্দিকী।

প্রধান মেহমান আল্লামা মুহাম্মদ ফুরকানুল্লাহ খলিল বলেন, প্রতিষ্ঠার মাত্র তিনবছরের শেষান্তে মা’হাদের ২য় হিফজুল কুরআন সম্মাননায় ৩৫জন এবং ১ম সম্মাননা অনুষ্ঠানে ২১জন হাফেজে কুরআনের বিশাল কাফেলা তৈরি, শিক্ষার্থীদের আরবি, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় বক্তৃতা ও তাদের উচ্চারণভঙ্গি সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়া চট্টগ্রামের আদলে তাঁরই কৃতি ছাত্র মাওলানা জিয়াউল হক কর্তৃক কক্সবাজার জেলায় প্রতিষ্ঠিত মা’হাদ আন-নিবরাসের অগ্রযাত্রাকে জামেয়ারই সফলতা মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এখানকার উত্তীর্ণ ছাত্ররা দেশ ও জাতি গঠনে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, ইনশাআল্লাহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ক্বারি নাজমুল হাসান বলেন, মা’হাদের ছাত্রদের তিলাওয়াতের মান খুবই চমৎকার। বিশেষ পরিচর্যা পেলে এরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। সেজন্যে সবরকমের সহযোগিতারও তিনি আশ্বাস দেন।

খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হক হাফেজে কুরআনদের সম্বোধন করে বলেন, প্রতিদিন তোমাদের একপারা মুখস্থ ও একপারা করে নাজেরা পড়তে হবে। না হয়, একসময় কুরআনের এই হিফজ ধরে রাখতে পারবে না। আর তোমাদের ভালো আলেমও হতে হবে।
দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর শিক্ষকতা পেশার অভিজ্ঞতার আলোকে প্রয়োজনে মা’হাদে সময় দেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়া চট্টগ্রামের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আফিফ ফুরকান মাদানী, ককসবাজার লাইট হাউস দারুল উলূম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আলী, ককসবাজার দারুল আমান একাডেমীর পরিচালক মাওলানা হাশেম মাহমূদ, তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদরাসা ককসবাজার শাখার প্রিন্সিপাল হাফেজ রিয়াদ হায়দার, ককসবাজার দারুল আরকম তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ ইউনুস ফরাজী, ককসবাজার দারুল কুরআন কমপ্লেক্স এর সহকারী পরিচালক মাওলানা ক্বারী সাইফুল্লাহ কাসেমী, বদরমোকাম জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবদুল খালেক নেজামী, ককসবাজার শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউট জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবুল মনজুর, খুটাখালী তমিজিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক ও আমাদের অভিভাবক মাওলানা আবুল ফজল,
ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক জনাব নাজিম উদ্দীন, ককসবাজার বায়তুন নূর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নূরুল হক ফারুকী, ককসবাজার আলিফ-লাম-মিম মসজিদের খতিব মাওলানা আরিফ উল্লাহ, ককসবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা ইলিয়াস আরমান ও মাওলানা মুহাম্মদ হাসান।

মা’হাদের এই ২য় হিফজুল কুরআন সম্মাননা অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত ৩৫জন হাফেজে কুরআনের অভিভাবকগণের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের প্রফুল্লতা আরও বৃদ্ধি করেছে। সন্তানদের এই অসাধারণ অর্জনে অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

অনুষ্ঠানে ককসবাজার জেলার দু’জন কৃতি সন্তান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ড. মুফতি হুমায়ূন কবির খালভী ও কুতুবদিয়া উপজেলার ড. মাওলানা শফিউল্লাহ কুতুবীকে সম্প্রতি পিএইচডি অর্জন করায় সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।