মোঃ মোজাম্মেল হোসাইন
রামগড় প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার লোকালয়ে প্রবেশ করেছে দুটি বন্য হাতি।স্থানীয়রা ধারণা করছেন পাহাড়ের
বনাঅঞ্চল উজারের কারণে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে হাতিগুলো খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে এসেছে।হাতির আগমনে জনমনে উৎকন্ঠা ও আতংক দেখা দিয়েছে।
জানা যায়,সোমবার (১৩ ডিসেম্বর)ভোরে হাতি গুলো যোগ্যছোলা ইউনিয়নের গাড়িটানা বাজারের পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবেশ করে মানিকছড়ির পান্না বিল নামক স্থানে অবস্থান নেয়।সেখানে হাতি দেখে উৎসুক জনতা ভীড় জমায়।পরে হাতি আসার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা নিকটস্থ মানিকছড়ি বন বিভাগে খবর দেয়।সেখান থেকে বনবিভাগের কর্মীরা এসে লোকজনকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। হাতি দুটিকে বনে ফেরাতে ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করতে যৌথভাবে কাজ করছে বনবিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
মানিকছড়ি বনবিভাগের সূত্রে জানা যায়, হাতিগুলোর আক্রমণে দুজন আহত হয়েছে।এছাড়া একটি ছাগল একটি গরুকে আক্রমণ করে এবং একটি বাড়ি ভাংচুর করে।
বন বিভাগের মানিকছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী হাতি প্রকৃতির অলংকার উল্লেখ করে প্রতিনিধিকে বলেন,বনে হাতি দুটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে বন বিভাগের কর্মী,স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ,সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছে। তবে উৎসুক লোকজনের জন্য কাজ করতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।আমরা উৎসুকজনতাকে সচেতন করতে সভা করেছি।যাতে হাতিগুলোকে কেউ বিরক্ত না করে।এদের বিরক্ত করলে বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে।হাতির দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে বনবিভাগের ক্ষতিপূরন দেওয়ার বিধান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়দের নিরাপত্তা ও হাতি গুলো নিরাপদে সরিয়ে নিতে যৌথভাবে কর্যক্রমে অংশ নেন চট্টগ্রাম বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা, খাগড়াছড়ির সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হোসেন,মানিকছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী,বাটনাতলী ক্যাম্প কমান্ডার,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারন জনতা।
Leave a Reply