১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

মানিকগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোশারফ হোসেন(মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

 

মানিকগঞ্জে হরিরামপুর উপজেলার ৪১ নং রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২০-২১ অর্থ বছরের ক্ষুদ্র মেরামতের ও স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্লান্ট (স্লিপ) ফান্ডের টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) প্রিতী চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) প্রিতী চৌধুরী বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের ২ লাখ টাকার কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করেন।

 

অপরদিকে স্লিপ এর ৫০ হাজার টাকা দিয়ে শিক্ষা সামগ্রী ক্রয় করার কথা থাকলেও তা ক্রয় না করে নিজেই সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে।

 

এসব টাকা বরাদ্দ প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সংশ্লিষ্টতার বিধান থাকলেও প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) প্রিতি চৌধুরী গোপনে সহকারি প্রকৌশলী মমিনুল ইসলামের সহযোগীতায় কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে শিক্ষা অফিসে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

 

প্রধান শিক্ষক করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোন কাজ না করে শিক্ষা অফিসে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য প্রাপ্ত ২ লক্ষ টাকা এবং স্লিপের জন্য ৫০ হাজার টাকা নিজের পকেটে ভরেন।

 

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর সরেজমিনে কাজ পরিদর্শন করে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। তারপর সংশ্লিষ্ট কাজের বিল উত্তোলন করতে পারবে।

 

কিন্তু কাজ শেষ না হলেও সহকারী প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম উপজেলা শিক্ষা অফিসে কাজ শেষ হয়েছে এমন প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে প্রতিবেদকের কাছে এ বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

 

এ বিষয়ে স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘প্রিতী চৌধুরী মাতৃকালীন ছুটিতে যাওয়ার কারনে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

 

এ বিষয়ে সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) প্রীতি চৌধুরী বলেন, আমি বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্দের ক্ষুদ্র মেরামতের ২ লাখ এবং স্লিপ ফান্ডের ৫০ হাজার টাকার সম্পূর্ণ কাজ ও কেনাকাটা করেছি। কে বা কারা আমার পিছনে লেগে আপনাদের বিভ্রন্তিমূলক তথ্য দেয় আমি কিছু বুঝতে পারি না।

 

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দিলিপ কুমার রায় বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে চেকে স্বাক্ষর করতে বললে, আমি তাকে বলেছি কি কি কাজ করেছেন? আমাকে চার্ট দেখান তারপর আমি স্বাক্ষর করব।

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বদর উদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কিছু অংশ কাজ করে টাকা উত্তোলন করেছেন এবং বাকী টাকা তার হাতে রয়েছে পরে কাজ করবে। তবে স্লিপ ফান্ডের টাকা দিয়ে স্কুলের জিনিষপত্র কিনে তার বাড়িতে রেখে দিয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।