১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

মানিকগঞ্জে ইটভাটার ট্রাকে সড়কের বেহাল দশা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোশারফ হোসেন (মানিকগঞ্জ) জেলা প্রতিনিধিঃ

 

 

মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের মালুটিয়া গ্রামের ১ কিলোমিটার রাস্তা যেন মরণফাঁদ। স্থানীয় ইটভাটার ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তার বেহাল অবস্থা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের ১০ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

 

জানা গেছে, এলজিইডি ২০১৬ সালের ২৩ জুন ঊনপঞ্চাশ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মালুটিয়া হতে দেবিপুর পর্যন্ত এসবি ইট সলিং দ্ধারা রাস্তাটি বাস্তবায়ন করে। রাস্তাটি বাস্তবায়ন হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় ইটভাটার মাটিবাহী ও অতিরিক্ত ইট ভর্তি ট্রাক চলাচল করে ধ্বংস করে দিচ্ছে। নির্মাণের চার বছর পার না হতেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চলাচলের একমাএ রাস্তা হওয়ার এতে চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে আশপাশের ১০ এলাকার মানুষদের।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটার ইট ভর্তি ট্রাক চলাচল করে রাস্তার দুপাশ নিচু করে ফেলেছে। রাস্তার ইট সলিং ভেঙে গিয়ে ছোট বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। রাস্তার অনেক জায়গার ইট সরে গিয়ে রাস্তার মাঝখানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ছোট বড় যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলমান বন্যায় রাস্তার দুপাশে পানি এমন অবস্থায় অতিরিক্ত ইট ভর্তি ট্রাক চলাচল করে রাস্তাটির আরো বেহাল দশা করেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে।

 

স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি হওয়ার পর থেকে এলাকার চেয়ারম্যান নিজের স্বার্থে ইটভাটার মাটির ট্রাক দিয়ে মাটি ও ইট নিয়ে রাস্তাটি নষ্ট করে ফেলেছে। চলমান বন্যার সময়েও ৬ হাজার ইট ভর্তি ট্রাক যাতায়াত করছে। যে রাস্তায় ২ হাজার ইট নিয়ে ট্রাক চললে রাস্তার ক্ষতি হয় সেখানে ৬ হাজার ইট বোঝাই দিয়ে ট্রাক চালাচ্ছে নিজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। যার ফলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

 

ভ্যান চালক কামাল বলেন, ভ্যান চালিয়ে তার সংসার চলে। ভাঙা রাস্তার কারনে ভ্যান চালাতে তার কষ্ট হয়। একটু ভারী মাল বোঝাই দিলেই ভ্যান উল্টে যায়। পেটের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি এই রাস্তা দিয়েই ভ্যান চালাতে হচ্ছে।

 

ভগবানপুর গ্রামের অনিল চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের যাতায়াতের প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা হয়ে পড়েছে। আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি। রাস্তা দিয়ে ইটভাটার ট্রাক চলাচল করে রাস্তা ধ্বংশ করে ফেলেছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে আট্রিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম সরকার বলেন, রাস্তাটি বাস্তবায়ন হওয়ার পর দুবার বন্যায় কিছু ক্ষতি হয়েছে। শুধু আমার ইট ভাটার ট্রাক চলে না । এলাকার কিছু ইটভাটার ট্রাক চলাচল করে রাস্তার ক্ষতি করেছে। আবার আমরাই রাস্তায় ইট ফেলে রাস্তা ঠিক করতেছি।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।