অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ
কয়রার বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে উদযাপিত হচ্ছে মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব।
শ্রীকৃষ্ণের প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক সাহিত্যে। ঋগ্বেদে একাধিকবার শ্রী কৃষ্ণের উল্লেখ আছে। মহাভারত, বিভিন্ন পূরাণ, শ্রীমদ্ভাগবত এবং বৈষ্ণবকাব্যে কৃষ্ণের কাহিনী বর্ণত হয়েছে। তার আবির্ভাব দ্বাপর যুগে।
৫০০০ (পাঁচ হাজার) বছর পূর্বে ৩২২৮ খ্রীস্টপূর্বাব্দের ১৮ জুলাই দেবকীর গর্ভে জন্ম হয়েছিল ভগবান শ্রী কৃষ্ণের। দ্বাপর যুগের এই দিনে পাশবিক শক্তি যখন সত্য, সুন্দর ও পবিত্রতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল তখন সেই অসুন্দর, অসুর ও দানবীয় পাশবিক শক্তিকে দমন করে মানবজাতিকে পূনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল মহাবতার রূপে।
সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিনী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয় তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব তিথিকে কেন্দ্র করে ভক্তরা উপবাস থেকে মন্দিরে মন্দিরে জন্মাষ্টমীতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা, পূজা-অর্চনা, গীতাযজ্ঞ, জন্মাষ্টমী মিছিল, কৃষ্ণপূজা, তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন ইত্যাদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে কয়রা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, যুব ও ছাত্র ঐক্য পরিষদ, মতুয়া ভক্ত পরিষদ সহ সকল ধর্মীয় সংগঠনের সহায়তায় উপজেলা সদরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য ধর্মীয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে ধর্মীয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন কয়রা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক দিলীপ কুমার বৈরাগী।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণের বাণী ছড়িয়ে যাক সভার মাঝে, তার নির্দেশিত পথে হোক আমাদের চলার পথের পাথেয়। তার আলোয় উদ্ভাসিত হোক ভূবণ, দূর হোক জরা, ব্যাধি, হিংসা- দ্বেষ। আজকের এ-ই পূর্ণ তিথিতে ভগবানের সাথে আমাদের চিন্ময় সম্পর্ক গড়ে উঠুক, সকল সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রার্থনা হোক মানবতার জয়গানের।
করা, খুলনা প্রতিনিধি
তারিখ ঃ- ৩০/০৮/২১ ইং।
Leave a Reply