১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

বিলুপ্তির পথে ঢেঁকি।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।বিলাইছড়ি( রাঙ্গামাটি)প্রতিনিধি­:

-বিলুপ্তির পথে ঢেঁকি।তাই ঢেঁকিকে ঐতিহ্য বলা বলা হয়।ঢেঁকি এক সময় মানুষের প্রায় প্রতিটি ঘরে ছাঁদের নিচে থাকতো বা দেখা যেত। বর্তমানে কাল বিবর্তন ও সময় পরিবর্তনের ফলে এখন আর এগুলো দেখা যায় না।

ঢেঁকি (phonetic)কি:-ধান ভানা বা শস্যকাটার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র বিশেষ। প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে ঢেঁকির ব্যবহার হয়ে আসছে।ঢেঁকির দ্বারা চাউলের ছাতু,মাসকালাই ডাল,হলুদ গুঁড়া ইত্যাদি তৈরি করা হয় ব্যঙ্গে, ধাড়ী ঢেঁকি হওয়া,গুণহীন বুদ্ধির ঢেঁকি.।ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে-মন্দ অদৃষ্টের পরিবর্তন হয়না। একটি লম্বা গাছ দিয়ে তৈরি করা একদিকে ছোট অন্যদিকে মোটা দুইদিকে ছিদ্র করে মানুষ একদিকে ভর দিয়ে ধান ভানে এই ঢেঁকি দিয়ে।

আবার ধান থেকে চাউল বের করা ছাড়াও চাউলকে গুঁড়ো বা পাউডার বানিয়ে পিঠা বা নাস্তা বানানো উপযোগী করে এই ঢেঁকি।কিন্তু একটি রাইস মিল দিয়ে দুই ধরনের চাউল এবং চাউলের গুড়ো করতে পারে না।

ঢেঁকির প্রকার ভেট:-ঢেঁকি সাধরণত দুই ধরণের দেখা যায়।তবে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, চাকমা,তঞ্চঙ্গ্যা,মার­মাদের প্রায় একই রকমের আর ত্রিপুরা,ম্রো,পাংখোয়­া ও অন্যান্য সম্প্রদায়ে এক এক রকম,বাঙালিদের আরেক রকম।ছোট- বড় বিভিন্ন আকার – ধরন থাকে।

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে রাইস মিল্ আবিষ্কার হওয়ার কারণে মানুষ ঢেঁকির ব্যবহার প্রয়োজন বলে মনে না করে কাল বিবর্তনের জাদুঘর ও পার্ক ছাড়া সহজেই দেখা যায় না।

হয়তো আজ-কাল শহরে ছেলে- মেয়েরা হঠাৎ নাও ছিনতে পারেন। একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু ঢেঁকির প্রচলন থাকলেও,নেই বলতে চলে গ্রামে,গঞ্জে ও শহরে।

 

বিলাইছড়ি প্রতিনিধি।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।