সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।
বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি- দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস বন্ধ থাকার পর মাছ শিকার ও বাজার জাতকরণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই লেকে রাইংখ্যং নদীর জেলেরা পূজা করে মাছ শিকার শুরু করেছে।এতে প্রাণ ফিরে পেলো জেলেসহ ব্যবসায়ী এবং পাইকারি ক্রেতারা।
তারা বলেন, যথা সময়ে পানি না বাড়ায়, সঠিক সময়ে মাছ ডিম না ছাড়া এবং মাছ বড় না হওয়ায় এবছর মাছ ধরা একমাস পিছিয়ে গেলেও সুবিধা হয়েছে বলে জানান।
কি কি সুবিধা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, মাছ ডিম দেওয়া,বড় হওয়া,বড় হলে বেশি দাম পাওয়া যায় বলেও জানান।
অন্যদিকে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক আরেক একজন জেলে জানান, মাছ শিকার বা মাছ মারা ৪ বন্ধ থাকালেও আমাদেরকে ভিজিএফ চাউল দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪ মাসে ৩ বার।এই হিসাবে আমরা তো চার মাসের পাওয়ার কথা।
এইসব বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুজন কান্তি দাস সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন,উপজেলা মোট যত জন জেলের তালিকা রয়েছে।বিগত সময়ে দুইবার আর মাছ বন্ধর সময় বাড়ানোর কারণে সম্প্রতি ১৮ আগস্টে একবার সহ মোট তিন বার ২০ কেজি করে ভিজিএফ চাউল দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
অন্যদিকে এইসব বিষয়ে আরো বিলাইছড়ির মৎস্য ব্যবসায়ী বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, করোনার কারণে মানুষের ইনকাম না থাকার কারণে জেলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।এখন পুরুষের পাশাপাশি মহিলা জেলেও রয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য যে, বিগত পহেলা মে ইং তারিখ হইতে কাপ্তাই হ্রদে মাছ প্রজনন ও বংশ বিস্তারের জন্য প্রতি বছরের ন্যায় ৩ মাস মৎস্য সংরক্ষণ বাজার জাতকরণ ও বিপনণ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও এবছর অনাবৃষ্টি ও যথাসময়ে পানি বৃদ্ধি না পাওয়ার কারণে আরো ১ মাস বেশি বৃদ্ধি করা হলে আজ প্রথম দিন থেকে আয়- রোজগার বেড়ে গেলো জেলে ও ব্যবসায়ী ও সবার মাঝে।
করোনা মহামারীর কারণেই বিকল হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন। তাই মৎস্য আহরণে মাধ্যমে সামান্য কিছুটা হলেও ঘুরাতে পারবে বলে তাদের ভাগ্যের চাকা মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply