সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।
বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধিঃ- বিলাইছড়ি উপজেলায় মোট ৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে ৩ টি ইউনিয়নে। বাদ পড়েছে ৪ নং বড়থলি ইউনিয়ন। আসন্ন ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার- প্রাচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে মহিলা মেম্বার ও ওয়ার্ড মেম্বার বা সাধারণ সদস্য সহ সকল প্রার্থীরা। সব এলাকায় পোস্টারে পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে,ভরে গেছে আনাচে- কানাচে।চলছে শীতের হাওয়ার আগেই নির্বাচনী হাওয়া।
সিডিউল মোতাবেক খুব কম সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় পর্বতে গিয়ে নিজেকে জয়ী করার জন্য ভোটারদের ভোট পাওয়ার জন্য শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা বিনিময়সহ ভাব বিনিময় করছেন প্রার্থীরা দিন- রাত। প্রচার- প্রচারণায় সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। তবে অনেক প্রার্থীদের সঙ্গে কথা হলে, তারা বেশ জন সমর্থক পাচ্ছেন বলেও জানান। প্রচারণায় কেউ পিছিয়ে নেই বলেও জানান স্বানীয় ও ভোটাররা।
তিন ইউনিয়নে মোট ১১ জন চেয়ারম্যানের প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের ৩ জন বাকীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রার্থীর মধ্যে ১ নং বিলাইছড়ি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন ৩ জন,তারমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ভদ্রসেন চাকমা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সুনীল কান্তি দেওয়ান, ও মিথুন তঞ্চঙ্গ্যা, (অমিতাভ)।
২ নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়নে ৪ জন,তারমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রামাচরণ মার্মা (রাসেল),স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন টিপু চাকমা, অমর জীব চাকমা ও সমতোষ চাকমা। এবং ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়নে ৪ জনের মধ্যে আওয়মীলীগের মনোনীত প্রার্থী বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জীবন বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, চাথোয়াই মার্মা ও নির্মল তঞ্চঙ্গ্যা।
প্রচারণায় কমতি নেই,সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদ প্রার্থীরাও। তারা তাদের প্রচারণায় বেশ জন সমর্থন পাচ্ছেন বলেও জানা যায়। এর মধ্যে ১ নং বিলাইছড়ি ইউনিয়নের – রিতা চাকমা,মাধুরী চাকমা,সপ্না তঞ্চঙ্গ্যা,বলাকা রানী চাকমা ,তনাবী তঞ্চঙ্গ্যা,অনুভা তঞ্চঙ্গ্যা ও রানী বালা তঞ্চঙ্গ্যা এবং ২ নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন ৮ জন ও ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়নে ৯ জন মোট-২৪ জন।
আর সাধারণ সদস্য (মেম্বার)পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন বিলাইছড়িতে ২৪ জন, কেংড়াছড়িতে ১৯ জন ও ফারুয়াতে ৩১ জন সর্বমোট ৭৪ জন।বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় ২ জন।
অন্যদিকে, অনেক ভোটারদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান,সবাই ভোট চাইতে আসে, কাকে রেখে কাকে দেবো,কাকে ফেলে কাকে দেবো এরা বসন্তের কোকিল নয়তো। চিন্তায় পড়েছেন ভোটাররাও। তবে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন ভোটার জানান,এরারে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বাছাই করার সময় এসেছে। তিনি জানান, যিনি বিপদে- আপদে পাশে থাকবে, উন্নয়নের দ্বারা অব্যাহত রাখবে, ত্রাণ চুরি করবেন না,আত্নীয় ও দলীয়করণ করবেন না, ন্যায় বিচার করবেন এবং সকলের সমান অধিকার বজায় রাখবেন এমন ব্যক্তিকে নির্বাচন করে ভোট দিবেন বলে জানান।
সবমিলিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় ২ জন সহ ১১১ জন। এবারে নির্বাচনে ১১ নভেম্বরকে ঘিরে চলছে নানা প্রচার- প্রচারণা,নিজে জয়ী হবার জন্য এবং নিজের মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য সব হিংসা- বিভেদ ভুলে দেখা যায় একে অপরে- পরস্পরে নতুন সহানুভূতি ও ভলোবাসার বন্ধন। এ যেন এক নতুন ঐক্যের সন্ধি।তবে সকলের একটাই দাবি সুস্থ নির্বাচন। ভোটাররা যাতে ঠিকমত ভোট দিতে পারে।
তাই আমাদের সকলের কর্তব্য একটি সুস্থ নির্বাচন উপহার দেওয়া।
Leave a Reply