৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

বিনা নোটিশে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে স্ব-মিল, মুরগীর ফার্ম ও পানের বরজ!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।

বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের ষোল হাওলাদার এলাকায় বিরোধীয় জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মামলায় আদালতের নির্দেশে ও বিনা নোটিশে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে মোঃ জামাল হাওলাদার নামে এক বর্গা চাষীর স্বমিল, মুরগীর ফার্ম ও পানের বরজ। এতে বর্গা চাষী সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসে গেছে। এতে তার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভূক্তভোগী দাবী করেন।

 

ভূক্তভোগী ও স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া মৌজার হাল এসএ ৩১৬ নং খতিয়ানের ৯১৮, ৯৬৬ ও ৯৬৮নং দাগ থেকে ১ একর ১০ শতাংশ জমি একই এলাকার বর্গাচাষী স্থাণীয় নূরুল ইসলাম হাওলাদারের পুত্র মোঃ জামাল হাওলাদার ওই জমির তৎকালিন মালিক আঃ রশিদ মাস্টার ও মোঃ কবির মিয়া গংদের কাছ থেকে বাৎসরিক ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া নেয়।

 

গত ১৫ বছর পর্যন্ত বর্গাচাষী ওই জমিতে ১টি স্ব-মিল, ২টি বয়লার মুরগীর ফার্ম ও ৮টি পানের বরজ নির্মাণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু ওই জমি নিয়ে সোনাবরু গংদের সাথে মোঃ আউয়াল হাওলাদার গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। যা আদালতে পর্যন্ত গড়িয়েছে। ওই মামলায় আদালত থেকে এক পক্ষকে (সোনাবরু বিবি গংদের) চুরান্ত ডিগ্রী দিয়ে জমি বুঝিয়ে দিতে গিয়ে ওই জমির উপরোক্ত দাগে ভোগ দখলে থাকা ভাড়াটিয়া বর্গাচাষী মোঃ জামালকে কোন প্রকার নোটিশ বা মৌখিকভাবে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে ভূক্তভোগী অভিযোগ করেন।

 

গতকাল (২০ নভেম্বর) সকালে সহকারী জজ আদালত (আমতলী) বরগুনা, থেকে নাজির মোঃ ফারুক আহম্মেদ গিয়ে চুরান্ত ডিগ্রীদারকে (সোনাবরু গংদের) জমি বুঝিয়ে দেয়। এসময় পুলিশের সহায়তায় ভাড়াটিয়া বর্গাচাষী মোঃ জামালের ওই জমিতে থাকা ১টি স্ব-মিল, ২টি বয়লার মুরগীর ফার্ম ও ৮টি পানের বরজ ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে লাল নিশান টানিয়ে দেয়া হয়। এতে ওই বর্গাচাষী জামাল সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসে গেছেন। এতে তার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

 

এ বিষয়ে ভূক্তভোগী ওই বর্গাচাষী মোঃ জামাল মিয়া কান্না কণ্ঠে বলেন, ভাড়া নেওয়া ওই জমিতে থাকা আমার ১টি স্ব-মিল, ২টি বয়লার মুরগীর ফার্ম ও ৮টি পানের বরজ কোর্টের আদেশে বীনা নোটিশে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আমি এতে সর্বস্ব হারিয়ে পথের ফকির হয়ে গেলাম। এতে আমার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

 

বিবাদী মোঃ আউয়াল হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, আমরা আদালতের দেয়া কোন নোটিশ পাইনি।

 

সহকারী জজ আদালত (আমতলী) বরগুনা, নাজির মোঃ ফারুক আহম্মেদ মুঠোফোনে বলেন, আদালতে নির্দেশে আমি চুরান্ত ডিগ্রীদারকে (সোনাবরু বিবি গংদের) জমি বুঝিয়ে দিয়ে লাল নিশান টানিয়ে দিয়েছি। বীনা নোটিশে স্থাপনা কেন ভাঙ্গছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্গাচাষী কোন নোটিশ পাবেন না। এ মামলায় যারা বিবাদী তারা বিষয়টি জেনেছেন এবং নোটিশও পেয়েছেন।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।