আবদুল মান্নানঃ- পরশুরাম প্রতিনিধি।
দীর্ঘ চাকরি জীবন শেষে বিদায় জানাতে অবসর নেওয়া পুলিশ কনস্টেবল মোঃ সিরাজ মিয়াকে ফুল সজ্জিত গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দিলেন পরশুরাম থানা পুলিশ।
৩৯ বছর চাকরি জীবন শেষে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়া পুলিশ কনস্টেবল মো. সিরাজ মিয়াকে ৩১ আগস্ট(মঙ্গলবার) বিরল সম্মান দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন পরশুরাম থানা পুুলিশ। সারাজীবন পুলিশ ভ্যানের পেছনে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার চাকরি জীবনের বিদায়ের শেষ দিনে পুলিশ ভ্যানকে সুসজ্জিত করে কর্মকর্তার আসনে বসিয়ে দিয়ে সিরাজ মিয়াকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন পরশুরাম থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যের একটি টিম। একজন কনেস্টবলকে এভাবে বিরল সম্মান দেয়ায় পুলিশ পরিবারসহ নেটিজনদের প্রশংসায় ভাসছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার (৩১আগস্ট) দুপুরে চাকরির শেষদিনে পরশুরাম থানার কনস্টেবল মো.সিরাজকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়ও তিনি জানতেন না তার মত একজন কনস্টেবলকে এভাবে সম্মান দিবেন থানার ওসি। গিয়ে দেখেন ওসি মু খালেদ হোসেন তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি পুুলিশ ভ্যানকে সুসজ্জিত করেছেন। গাড়িতে কর্মকর্তাদের আসনে বসিয়ে আবেগপ্লুত হয়ে অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে বিদায় দেন ওসিসহ অন্যরা। চাকরি জীবনের বিদায়ের শেষ দিনে এভাবে সম্মান পেয়ে সবাইকে স্যালুট দেন কনস্টেবল মোঃ সিরাজ মিয়া। বিদায়কালে রিবল সম্মান পেয়ে তার চোখে ভেসে উঠে আনন্দাশ্রু।
তার আগের দিন সোমবার(৩০ আগস্ট) পরশুরাম থানা অফিসার ইনচার্জ মু খালেদ হোসেন সহ থানার অফিসার ও ফোর্সের পক্ষ থেকে বিদায়ী কনস্টেবল মোঃ সিরাজ মিয়াকে সম্মামনা ক্রেস্ট এবং শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়া হয়।
আবেগ আপ্লুত কনস্টেবল মোঃ সিরাজ মিয়া বলেন, ‘পুলিশ সদস্য হয়ে বিদায়বেলায় পরশুরাম থানার ওসি স্যারের এ ধরনের সম্মানজনক সংবর্ধনা পেয়ে গর্বিত। পরিবারের সদস্য ছাড়াও প্রতিবেশীদের কাছে নিজেকে একজন সফল ও গর্বিত পুলিশ সদস্য হিসেবে প্রমাণ করতে পেরে ফেনী জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরু নবী স্যার ও পরশুরাম থানার ওসি স্যারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই সৃতি আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না।
পরশুরাম থানার ওসি মু খালেদ হোসেন জানান, ৩৯ বছর পুলিশ জীবনে সার্ভিস দিয়েছেন তিনি। জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরু নবী স্যারের নির্দেশে বিদায় বেলা এতটুকু সম্মান দিতে পেরে তার মনটা খুশিতে ভরে গেছে। এটা করতে পেরে আমিও মানসিক শান্তি পেয়েছি। তিনি আমাদের পুলিশ পরিবারের একজন সদস্য। বিদায়বেলায় তাকে সম্মান দিতে পেরে নিজেরই প্রশান্তি লাগছে।ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply