৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২৫শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।বৃহস্পতিবার

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের গভীর শ্রদ্ধা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এইচ এম আব্দুল্লাহ আল মাহবুব ,সিরাজগঞ্জ ,জেলা প্রতিনিধি ।

 

আজ রবিবার (০৮ আগস্ট ২১) সিরাজগঞ্জ জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব হাসিবুল আলম, বিপিএম মহোদয়ের সভাপতিত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী, বাঙালির সকল লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী বাংলাদেশের প্রথম ফার্স্ট লেডি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ মনসুর আলী অডিটরিয়ামে স্থা‌পিত প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

 

 

জেলা পুলিশ সুপার জনাব হাসিবুল আলম বলেন,বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ০৮ আগস্ট ১৯৩০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেনু। তার পিতার নাম শেখ জহুরুল হক ও মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। পাঁচ বছর বয়সে তার পিতা-মাতা মারা যান। তিনি তার স্বামী শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাতো বোন ছিলেন। ১৯৩৮ সালে বিয়ে হবার সময় রেনুর বয়স ছিল ৮ বছর ও শেখ মুজিবের ১৮ বছর। পরে এই দম্পতির দুই কন্যা ও তিন ছেলে হয়। তারা হলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বেগম ফজিলাতুন্নেসা পরিবারের অন্য সদস্যদের (শেখ হাসিনা, শেখ জামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেল, এম এ ওয়াজেদ মিয়া এবং অন্যান্য) সাথে মগবাজার অথবা কাছাকাছি কোনো এলাকার এক ফ্ল্যাট থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিলেনে ১২ মে ১৯৭১ এবং ধানমন্ডির বাড়ি ২৬, সড়ক ৯এ (পুরনো ১৮) তে বন্দি অবস্থায় ছিলেন ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

 

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে নয়, একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবে যিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে হিমালয় সমআসনে অধিষ্ঠিত করেছেন তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

প্রত্যেক বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় ধ্রুব তারার মতন জ্বলজ্বলে বঙ্গজননীর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান I যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গমাতা থাকবেন আমাদের অস্তিত্বে I জাতির পিতাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে এগিয়ে নেওয়া এই মহিয়সী জননীর প্রতি জেলা পুলিশ, সিরাজগঞ্জ এর পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি I

 

এ সময় আরো উপ‌স্থিত ছি‌লেন জনাব মোঃ নূর আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ), জনাব মোছাঃ ফারহানা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), জনাব মোঃ শরাফত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), ডিআইও-১, ডিবি, অফিসার ইনচার্জ সিরাজগঞ্জ থানা সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।