বিশেষ প্রতিনিধি বগুড়াঃ
বগুড়ার শেরপুরে আসন্ন ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পোলিং অফিসার নিয়োগে নজিরবিহীন অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, ট্রেনিং প্রাপ্তরা বঞ্চিত হয়েছে এবং উৎকোচ নিয়ে ট্রেনিং না নেওয়া ব্যাক্তিদের মোবাইলে ডেকে নিয়ে পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায় ৪ নভেম্বর সকাল বিকাল মিলিয়ে প্রায় ৪০-৫০ জনকে পোলিং অফিসারের প্রশিক্ষণ দিয়ে সবার হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়, পরবর্তীতে তারা জানতে পারে পোলিং অফিসারের প্রশিক্ষণ না নেওয়া ব্যক্তিদের পোলিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ তুলছেন বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দুর্নীতি করার জন্যই নির্বাচন অফিস থেকে তাদের পছন্দমতো ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণবিহীন পোলিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভোট গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকা দেওয়া হয়। ওই তালিকা রিটার্নিং ও নির্বাচন অফিসারের কাছে সরবরাহ করা হলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং ও নির্বাচন অফিসাররা তালিকা থেকে যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের ভোট গ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়, প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিটি ব্যক্তির হাতে সঙ্গে সঙ্গে সবার হাতে নিয়োগপত্র প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে নিয়োগপত্র প্রাপ্ত ব্যক্তিরাই ভোট গ্রহণের জন্য বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১১ নভেম্বর শেরপুরের ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply