৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে”। সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দীন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সুমনসেন চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁন্দগাও-বোয়ালখালী আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দীন আহমদ আজ দুপুরে চট্টগ্রাম সম্মিলিত কর আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতাল স্থাপনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে ‘উদ্দেশ্যমূলক ও হীন স্বার্থের আন্দোলন’ হিসেবে অভিহিত করে এই হাসপাতাল স্থাপনের বিরোধিতা কাম্য নয়।

সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের পক্ষে নিজের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এর বিরোধিতা করা মানে শেখ হাসিনার বিরোধিতা করা।সিআরবি রক্ষা আন্দোলন নিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে মোছলেম উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় চট্টগ্রামের রেলওয়ের ভূমিতে পিপিপির মাধ্যমে সিআরবি এলাকায় একটি হাসপাতাল নির্মানের প্রকল্প গ্রহণ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যেখানে বর্তমানে কিছু ঝুপড়ি ঘর ও দোকানপাট রয়েছে।

 

এক শ্রেণির লোক কিছু না-বুঝেই হীন স্বার্থে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করে যাচ্ছে।’এর আগে সেখানে অন্যান্য স্থাপনা তৈরির সময় কোন বিরোধিতা কেন করা হয়নি— এমন প্রশ্ন তুলে মোছলেম উদ্দিন বলেন, ‘এই এলাকায় যখন সিএনজি ফিলিং স্টেশন করা হয়েছে তখন বিরোধিতা করা হয়নি। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় যখন করা হয়েছে তখন বিরোধিতা করা হয়নি কেন? এখন হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করা মানে শেখ হাসিনার বিরোধিতা করা।’এই বিরোধিতার পিছনে অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ইন্ধন রয়েছে দাবি করে মোছলেম উদ্দিন আরও বলেন, ‘কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এভারকেয়ার, ইমপেরিয়াল, পার্কভিউসহ বিভিন্ন হাসপাতাল মালিকদের ইন্ধনে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করছে যা কাম্য নয়।’

উন্নয়নের স্বার্থে পরিবেশের বিষয়ে ছাড় দিতে হবে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন এবং পরিবেশ একসাথে হয় না, উন্নয়নের স্বার্থে পরিবেশের বিষয়ে ছাড় দিতে হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। তার হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।’

 

এদিকে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত নেতারা এটিকে মোছলেম উদ্দিনের ‘নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি’ হিসেবেই দেখছেন। পাশাপাশি এভাবে প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে হাসপাতাল নির্মাণের পক্ষে কথা বলার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ছোট’ করা হচ্ছে বলেও মনে করেন তারা।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।