১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

পাহাড়ে সুপেয় পানি পেতে ডিপ-টিউবওয়েলে একমাত্র ভরসা ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি।

পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া কোন প্রাণী বাঁচতে পারে না। তাই পাহাড়ে সুপেয় পানি পেতে ডিপ-টিউবওয়েলের বিকল্প নেই বলে জানান স্থানীয় পাড়াবাসী,জন প্রতিনিধি,জনস্বাস্থ্­য প্রকৌশল অধিদপ্তর (পাবলিক হেল্থ) সহ ভুক্তভোগী সকলেই।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ২৫ বছরের এক গৃহীনি বলেন,আগে আমাদেরকে রিংওয়েল দেওয়া হয়ছিল,তা ভরা মৌসুমে পানির সুবিধা পেলেও কিন্ত শুকনো মৌসুমে একেবারেই পান করা ও ব্যবহার করা পানি পর্যন্ত পাওয়া যায় না বলে জানান।

তিনি আরও বলেন,আমরা বর্তমানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল থেকে ১ টি ডিপটিউবওয়েল পেয়েছি, তা আমরা এখন শুকনো মৌসুম থেকে শুরু করে সব মৌসুমে অনবরত পান করার পানি সহ গোসল ও অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করছি।

তিনি আরো জানান,ছড়ার পানি উৎস হতে আমরা অনেক দূরে।তাছাড়া গ্রীষ্মকালে খাল, বিল, নদ-নদী, ছড়া- ঝর্ণা,কুয়ার পানিও শুকিয়ে যায়, যার ফলে পান করার মত কোন পানি পাওয়া যায় না,দূর হতে সংগ্রহ করতে হলে কয়েক ঘণ্টা হেটে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়।

এইসব বিষয়ে বিলাইছড়ি উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বা পাবলিক হেল্থের দায়িত্ব প্রাপ্ত ফিল্ড অফিসার মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, উপজেলায় ৪ টি ইউনিয়নে মধ্যে বড়থলি বাদে ইতি পূর্বে ৩ টি ইউনিয়নে বিলাইছড়ি,কেংড়াছড়ি ও ফারয়া ইউনিয়নে দূর্গম এলাকায় ৪০ টি ডিপ টিউবয়েল করা হয়েছে। বর্তমানে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ৭৮ টি চলমান রয়েছে বলে জানান।

সবকটি ডিপ টিউবওয়েলের গভীরতা ২২০ থেকে ৪০০ ফুট গভীরতার মধ্যেই করা যায়। বেশ কয়েকটা লেয়ার পেলেই বসানো সম্ভব বলে তিনি জানান।

তিনি আরো জানান,বর্তমানে পানির স্তর নীচে নামায় রিংওয়েল দিয়ে ৫০-৬০ গভীরতায় সবসময় পানি পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।তাছাড়া তিনি কাপ্তাই লেকের পানি শুকিয়ে যায় বলেও জানান। তাই পাহাড়ে সুপেয় পানি পেতে হলে ডিপ টিউবওয়েলের একমাত্র ভরসা।

উল্লেখ্য যে, বিগত ২০১৬-২০১৭ সালে সিআইপিডি এনজিও সংস্থা আলোকিত প্রকল্প নামে ইউএনডিপি’র অর্থায়নে ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়নে আলেখ্যং এলাকায় পাহাড়ে সুপেয় পানি পেতে পাথর কেটে ১৩টি ডিপ-টিউবওয়েল করায় এলাকাবাসীর ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন।

তাই পাহাড়ে সুপেয় পানি পেতে জেলা ও উপজেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন জিও,এনজিও কাজ করে যাচ্ছে।তাই দূর্গম এলাকায় এইসব প্রকল্প চাহিদা অনুযায়ী কোন আত্নীয়করণ না করে যাচাই – বাছাই করে হাতে নিলে আরো বেশি এলাবাসী সুগম হবে বলে জানা যায়।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।