৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

পশ্চিম বাংলায় ভোট পরবর্তীতে যে, খুন ধর্ষণ, ঘরবাড়ি লুট কোন মামলি হিঙসা নয়। তদন্তের ভার দিল সি বি আই কে কলকাতা হাইকোর্ট।।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।

আজ কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা ছয়টি জনস্বার্থ মামলার পশ্চিম বাংলা বাংলায় ভোট পরবর্তীতে বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের উপর শাসক দলের নেতা ও কর্মীরা পশ্চিম বাংলায় বিভিন্ন জেলায় যে অত্যাচার করেছিল তার সঠিক ভাবে পুলিশ কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। তার মধ্যে বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের উপর মারধর ও বাড়ি ভাঙচুর এবং খুন এবং ধর্ষণ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ ছিল। যায় মধ্যে, ৩৩৫৪,টি, অভিযোগ করা হয়। এফ আই আর হয়, ৬৫১,টি। কিন্তু ভোট পরবর্তীতে বিরোধী দলের উপর যে অত্যাচার করা হয় তার সঠিক তদন্ত পুলিশ ঠিক মতো করে নি পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শ্রী রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি শ্রী হরিশ টন্ডন বিচারপতি শ্রী ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি শ্রী সোমেন সেন ও বিচারপতি শ্রী সুব্রত তালুকদারের একলাসে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার তদন্ত শুরু করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এর নির্দেশে।তদন্ত শুরু করার ভার দেওয়া হয় ভারতের সিবিআই ও ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য এবং ভারতের লিগ্যাল সার্ভিস কমিশন কে। তারা তদন্ত শুরু করলে বিভিন্ন যায়গায় বাধা প্রাপ্ত হয় শাসক দলের তরফ থেকে ও কোথাও কোথাও তাদের কে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা। তারা অনেক যায়গায় পুলিশের সাহায্য ঠিকমতো পালন করে নি বলে অভিযোগ করেন। এবং অনেক যায়গায় পুলিশের সামনে তাদের কে হেনস্তা করে শাসক দলের নেতা ও কর্মীরা। তার মধ্যে কলকাতার যাদবপুর এলাকায় পুলিশের সামনে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। তা নিয়ে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার যাদবপুর জনাব রসিদ মুনির খান কে শো কাজ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর পর পশ্চিম বাংলা সরকারের পক্ষে এই মামলার বিরুদ্ধে সওয়াল করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শ্রী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের পক্ষে এই মামলায় লড়াই করেন সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডিশনাল সলিটর জেনারেল আইনজীবী শ্রী ওয়াই জে দস্তর। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আজ এই মামলার রায় দিতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এর বিচারপতিরা বলেন এই মামলা কোন সাধারণ মামলা নয়। এই মামলার তদন্ত শুরু করার ভার দেওয়া হয়েছে ভারতের সিবিআই কে। তারা প্রতিটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে। এবং সি বি আই কে তদন্ত শুরু করতে যে খানে যাবে তাদের কে পুনরায় পুলিশের নিরাপত্তা দিতে হবে। এবং সেই সঙ্গে তিন জনের একটি সিট গঠন করা হয়েছে। এর সিট কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত শুরু করবেন। এই সিট এর মধ্যে রাখা হতে পারে কলকাতা পুলিশের ডি জি শ্রী সৌমেন মিত্র আই পি এস ও সুমন বালা সাউ এবং শ্রী নিলেশ কুমার। তবে সিবিআই কে দিয়ে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তা দেখার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের কোন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে রাখতে বলা হয়েছে। এবং এই তদন্ত ছয় সপ্তাহ এর মধ্যে শেষ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এ জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন। এই মামলার তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট জমা দেবে তা দেখার পর পরবর্তীতে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন।।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।