২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৯৪ শতাংশের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ এখন একেবারে শেষের পথে। প্রতিকূল আবহাওয়া, গুজব ও মহামারি করোনাভাইরাস সঙ্কট উপেক্ষা করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে মূল সেতু দৃশ্যমান হওয়ার পর এবার যান চলাচলের জন্য উপযোগী হয়েছে উঠছে কোটি মানুষের স্বপ্নের সেতু।

জুলাই মাস পর্যন্ত সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের আর বাকি মাত্র ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। আগামী ১১ মাসের মধ্যে মূল সেতুর বাকি কাজ প্রায় এক হাজার ২২৭ কোটি টাকা দিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।

গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সেতুর প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সর্বমোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে গত জুলাই মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৫ হাজার ৮৮৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর মূল সেতু কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ৪৯৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। যার মধ্যে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ২৬৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

সেতু প্রকল্পের আওতায় নদী শাসনের অগ্রগতি হয়েছে ৮৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য আট হাজার ৯৭২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ছয় হাজার ৭১৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

প্রকৌশল বিভাগ আরও জানায়, মূল সেতুর মধ্যে দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাব বসানো হবে। এরইমধ্যে দুই হাজার ৮৩১টি স্লাব বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। আর পাঁচ হাজারটি শেয়ার পকেটের মধ্যে এক হাজার ৯৭৯টি এবং ১২ হাজার ৩৯০টি প্যারপেট ওয়ালের মধ্যে তিন হাজার ৬০৬টি স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া মাওয়া ও জাজিরার ভায়াডাক্টে ৪৩৮টি সুপারটি গার্ডারের মধ্যে ৪৩৮টি ওবং ৮৪টি রেলওয়ে আই গার্ডারের মধ্যে ৮৪টিই স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর মোট ৪১টি ট্রাস রয়েছে, যার সবগুলো ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ১৫০ মিটার বা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

এদিকে, সেতুর সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ এরইমধ্যেই শতভাগ শেষ হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৪৯৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ খাতে বরাদ্দ চার হাজার ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। অন্যান্য (পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট ও আয়কর, যানবাহন, বেতন ও ভাতাদি এবং অন্যান্য) খাতে বরাদ্দ দুই হাজার ৮৮৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।