১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

নিজ পরিবার থেকেই হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী আফসান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩২ বছরের ব্রিটিশ অভিনেত্রী এবং মডেল আফসান নুর আজাদ। ‘হ্যারি পটার’-এর পদ্ম পাটিল চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি পান। ‘হ্যারি পটার’-এর প্রতিটি সিরিজেই আফসানকে দেখা গিয়েছিল। সম্প্রতি তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ইন্সটাগ্রামে এ কথা নিজেই জানালেন ৩২ বছর বয়সী এ মডেল।

‘হ্যারি পটার’-এর মতো সফল ছবিতে অভিনয় করে যত না পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি, তার চেয়ে অনেক বেশি চর্চা হয়েছিল তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। আসলে পর্দায় যতটা প্রাণবন্ত লেগেছিল আফসানকে, তার বাস্তব জীবন কিন্তু তেমনটি ছিল না। হিন্দু ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলায় পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে তাকে তার বাবা ও ভাই খুন পর্যন্ত করতে গিয়েছিলেন।

আফসানের জন্ম ম্যানচেস্টারে হলেও তার পূর্বপুরুষ বাংলাদেশের বাসিন্দা। আফসান আসলে এক বাংলাদেশি মুসলিম পরিবারের মেয়ে। ২০১১ সালে আফসান তখন ২২। ‘হ্যারি পটার’-এর সৌজন্যে তখন তিনি অত্যন্ত পরিচিত মুখ। ‘হ্যারি পটার’-এর শেষ সিরিজও মুক্তি পেয়ে গেছে।

সেদিন বাড়িতেই ছিলেন আফসান। দোতলায় শৌচাগারে স্নান করতে ঢুকেছিলেন। মোবাইল ফোনে লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তখনই শুনতে পেয়ে যান তার বড় ভাই আশরাফ। শৌচাগারের দরজা ভেঙে তার চুল ধরে চেনে হিঁচড়ে বাইরে বার করে আনেন তাকে।

তারপর দেওয়ালে কয়েক বার মাথা ঠুকে টানতে টানতে নীচের তলায় বাবার ঘরে নিয়ে যান। বাবা তখন বিছানায় বসে ছিলেন। সেই খাটে মাথা ঠুকে ফেলে দেন আফসানকে। মেয়ের ‘কীর্তি’ জানার পর ছেলেকে প্রতিহত করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেননি বাবা বরং উল্টে ছেলেকে নির্দেশ দেন মেয়েকে খুন করে ফেলার। ততোক্ষণে আফসানের চিৎকার শুনে ঘরে ছুটে এসেছেন তার ভাবী এবং মা-ও। সব কিছু শুনে তারাও কেউ আফসানের পাশে দাঁড়াননি।

আফসানের সারা গায়ে-মুখে কালশিটে পড়ে গিয়েছিল। চোখ, ঠোঁটের চারপাশ ফুলে উঠেছিল। সেই অবস্থাতেই তাকে দোতলার একটি ঘরে বন্দি করে রেখে তার প্রেমিকের খোঁজে বেরিয়ে যান আশরাফ। মা-ভাবীও আফসানকে হুমকি দিয়ে যান। আফসানের সামনে তখন দু’টি শর্ত রাখেন তারা। হয় তাকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে পরিবারের পছন্দ মতো কোনও পাত্রকে বিয়ে করতে হবে তা না হলে পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে তাকে খুন করা হবে।

অত্যন্ত ভয় পেয়েছিলেন আফসান। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ঘর যেখানে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়, সেই ঘরই তাকে মৃত্যুভয়ে জর্জরিত করে তুলেছিল। সুযোগ বুঝে দোতলার ঘর থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান।

তারপর সোজা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেয় পুলিশও। বড় ভাই আশরাফ এবং বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বাবা জামিনে ছাড়া পেয়ে যান কিন্তু আশরাফের ৬ মাসের জন্য জেল হয়।

আফসান যদিও সকলেই ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। নিজে চিঠি লিখে আশরাফের মুক্তি চেয়েছিলেন বিচারকের কাছে। তার চিঠির বয়ান ছিল, ভাইকে তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক। যদিও বিচারক অপরাধের গুরুত্ব বুঝে দাদার শাস্তি মওকুফ করেননি।

তারপর অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। পরিবারের সঙ্গে থেকেছেন আফসান। ‘হ্যারি পটার’ আর কোনও ছবি তিনি করেননি। তবে টুকটাক মডেলিং করে থাকেন। ২০১৮ সালে পরিবারের সম্মতিতে নাবিল কাজি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের বিয়েতে হ্যারি পটার সিরিজের একাধিক অভিনেতা হাজির ছিলেন।

বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির একাধিক ছবি ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে শুরু করেন আফসান। সম্প্রতি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এপ্রিলে একটি পোস্ট করে তিনি সমস্ত ভক্ত-অনুরাগীদের সন্তানসম্ভবা হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। সূত্র: আনন্দবাজার

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।