১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

নওদাবস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

 

লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ভোলারচওড়া গ্রামের নওদাবস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

 

নওদাবস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫৩ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ভাল ভাবে চললেও গত বছর করোনার সময়ে লগডাউনের কারনে অন্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি করোনার প্রকোপ কমে গেলে বিদ্যালয়টি যথারীতি খুললেও প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী থাকেন না।

 

জানা যায়, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা কালিন সময়ে স্লীপ প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা শিক্ষা উপকরণ না নিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী। নওদাবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী ঠিক মতো বিদ্যালয় আসেন না। বিদ্যালয় এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে কাজ আছে বলে চলে যান।

 

লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য অফিস ২০১৯ অর্থ বছরে ১৩লক্ষ টাকায় একটি দ্বিতল ওয়াশব্লক তৈরির কাজ হাতে নেয়। কাজটি পায় কাজী নজরুল ইসলাম তপন। তিনি কাজটি সাব ঠিকাদার জহুরুলের কাছে বিক্রয় করে দেন। কিন্তু নির্ধারিত স্থানটিতে আগের একটি বাথরুম থাকলে ওয়াশব্লগ তৈরিতে সমস্যা দেখা দেয়। প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী পুরোনো বাথ রুমটি ওয়াকশন না দিয়ে নিজেই ভেঙ্গে নিজেদের মধ্যে ইট ভাগ বাটোরা করে নেন। কমিটির সভাপতি না থাকায় কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে একের পর এক নানা অনিয়ম করেই চলছেন। কিছু ইট ওয়াশব্লক তৈরিতে সকওয়ালে ১০ইঞ্চি গাঁথুনি দেয়া হয়েছে।

 

বর্তমান কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আক্ষেপ করে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী আমরা যারা কমিটির সদস্য আছি আমাদের না জানিয়ে নিজের মনের মতো করে বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন। তিনি ঠিকমত বিদ্যালয় করেন না।

 

নব-নির্বাচিত মেম্বার সাহাবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী বিদ্যালয়টি শেষ করে দিয়েছে।নানা অনিয়ম করেও তিনি বার বার পার পেয়ে যাচ্ছেন। আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এর বিচার চাই।

 

নওদাবস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী বিদ্যালয়টির অনিয়ম বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেখেন আমার বিদ্যালয়ের অনেক কাজ উপজেলা অফিসে থাকে তাই মাঝে মাঝে আমাকে যেতে হয়। স্লীপ বরাদ্দের টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সব টাকা আমি কাজ করেছি। পুরোনো বাথরুমের ইট হারিয়ে গেছে। কিছু ইট ঠিকাদার স্লোপের কাজে ব্যবহার করছে। আপনার প্রতিষ্ঠানের নাইট গার্ড কি ছিলোনা এমন প্রশ্নের কোন উত্তর তিনি দেননি।

 

লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী সাংবাদিকদের বলেন, অনিয়ম করার সুযোগ নেই। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নাছিমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কাজে অনিয়ম করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।